চট্টগ্রাম থেকে: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিম ইকবালের অভিষেক হয়েছে আজ থেকে ১৪ বছর আগে। ২০০৭ সালে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্যাপ পরেছিলেন দেশ সেরা এই ওপেনার। টেস্ট ক্যাপ পরেছিলেন অবশ্য এর ঠিক এক বছর পরেই, অর্থাৎ ২০০৮ সালে। প্রশ্নের উদ্রেক হওয়া অবান্তর নয়, তাহলে নতুন করে আবার কিসে অভিষেক হলো তামিমের? উত্তর হলো, অধিনায়ক হিসেবে।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেদ দলের ওয়ানডে অধিনয়ক হিসেবে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অভিষেক হলো চট্টলার ঘরের ছেলের। সফরকারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে দিয়ে হোম ভেন্যুতে টাইগারদের দলনেতা হিসেবে নাম লেখালেন কাজী দেউরির খান পরিবারের ছোট ছেলে।
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, ঘরের মাঠে প্রত্যাশিতভাবে নামের সুবিচার করতে পারেননি তামিম ইকবাল। বিশেষত ওয়ানডেতে, যে ফরম্যাটে তিনি সবচেয়ে বেশি সফল (১৩ সেঞ্চুরি)। এই ফরম্যাটে ঘরের মাঠে নেই কোনো সেঞ্চুরি। ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে আজ অবধি সর্বোচ্চ খেলেছেন ৯৫ রানের ইনিংস। সেটাও ২০১০ সালের কথা। সফরকারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯৬ বলে এই সংগ্রহ পেয়েছিলেন স্বাগতিক এই ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮২ রান করেছিলেন ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে।
টেস্টে অবশ্য একটি সেঞ্চুরি পেয়েছেন। সেটাও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০১৪ সালের নভেম্বরে দেশটি বাংলাদেশ সফরে এলে সিরিজে তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে খেলেন ১০৯ রানের ইনিংস। তার উইলো থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৬ রান এসেছে ২০১০ সালের মার্চে সফরকারি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
টি-টোয়েন্টির কথা তো বলাই বাহুল্য। ৭৮ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি করা দেশ সেরা এই ব্যাটসম্যান এই ফরম্যাটে আজ অবধি সর্বোচ্চ খেলেছেন ৩০ রানের ইনিংস। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সফরকারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৫ বলে এই সংগ্রহ পেয়েছিলেন তামিম।
দেখা যাক উইন্ডিজদের বিপক্ষে এই ম্যাচে নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন কিনা?