Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাগরিকায় জয়ের সুবাস পাচ্ছে টাইগাররা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:৪৭

চট্টগ্রাম থেকে: চট্টগ্রাম টেস্ট জিততে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন আরও ২৮৫ রান। কিন্তু হাতে আছে আর মাত্র একটি দিন। এদিকে সাগরিকার উইকেটেও উন্মাতাল ঘূর্ণি, যার বিরুদ্ধে পঞ্চম ইনিংসে খেলা বস্তুতই দূরহ। তাছাড়া সেই ঘূর্ণিপাকের বিপাকে পড়েই দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯৫ রানের লক্ষ্যে নামা চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ক্যারিবিয়রা স্কোর বোর্ডে তুলেছে ১১০ রান। মাত্র ৪০ ওভারে সফরাকারিদের ৩ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের সুবাস পাচ্ছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

ভাবছেন একদিন বাকি থাকতেই জয়ের ব্যাপারে একটা নিশ্চিত কি করে? না, কোনো জাদু মন্ত্র বলে নয় বরং জহুর আহমেদের পরিসংখ্যানই টাইগারদের এই ভরসা দিচ্ছে। দ্বিতীয় ইনিংসে এই মাঠে আজ অব্দি সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড আছে ৩১৭। ২০০৮ সালে সফরাকারি নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশের বিপক্ষে এই রান তাড়া করে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলেছিল। এর আগে ২০০৬ সালে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে সফরকারি অস্ট্রেলিয়া ৩০৭ রান তাড়া করে জিতেছিল। মানে বাংলাদেশের মাঠে তিনশোর্ধ্বো রান তাড়া করে জয়েরর রেকর্ড এই দুটোই আছে। কাজেই মুমিনুল হকরাও সাগরিকায় উইন্ডিজ বধের প্রত্যাশা করতেই পারেন।

শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দিনের দশম ওভারেই রাকিম কর্নওয়ালের এলবি’র ফাঁদে পড়ে মাত্র ১৮ রানে ইনিংসের এপিটাফ লিখে দেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম।

তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে মুমিনুল খেলেন ১৩২ রানের নান্দনিক এক ইনিংস। তাতে ক্যারিয়ারের ১০ম টেস্ট শতকেরও দেখা পান প্রিন্স অব কক্সবাজার। জহুর আহমেদে যা তার সপ্তম শতক। বাকি তিনটি এসেছে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। দিনের চা বিরতিরে আগে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে যখন রোচের তালুবন্দি হলেন তার আগে নামের পাশে ১১৫ রান। আর লিটন দাসের ব্যাট থেকে এল ৬৯ রান। দুজনের লড়াকু ব্যাটে ২২৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ব্র্যাথওয়েটদের ছুঁড়ে দিল ৩৯৫ রানের দুর্ভেদ্য লক্ষ্য।

তা ছুঁতে নেমে মেহেদি হাসান মিরাজের ছোবলে ১১০ রানেই ভেঙে পড়ল উইন্ডিজের টপ অর্ডার।

অবশ্য কঠিন চ্যালেঞ্জে নেমেও অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও জন ক্যাম্পবেলের শুরুটা নেহায়াৎ মন্দ হয়নি। অনায়াসেই কাটিয়ে দিয়েছেন ১৬ ওভার। তবে বিপত্তি ও ঘটে ১৭তম ওভারে। মিরাজের একেবারে প্রথম বলটি সুইপ করতে গিয়েই ২৩ রানে নিজের উইকেট হারান বাঁহাতি এই ওপেনার।

খানিকবাদে দলকে আরও বড় এক উইকেট এনে দিয়ে অতিথিদের বিপাকে ফেলে দেন মিরাজ। ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে ইয়াসির আলি চৌধুরির দারুণ ক্যাচে ২০ রানে ক্রিজ ছাড়া হন অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট। তিনে নামা শেন মোজলি অবশ্য শুরু থেকেই ছিলেন ভীষণ নারভাস। কাজেই আউটও হন ওভাবেই। মিরাজের নিচু হয়ে আসা বলটি সামনে খেলাটাই যুক্তিযুক্ত ছিল। কিন্তু তিনি খেলতে যান পেছনের পায়ে, শটও ছিল বাজে। ব্যাস বল এসে চুমু খায় তার পায়ে। অমনি এলবি’র জোরালো আবেদন ওঠে। আম্পায়ারও আঙুল তুলে দেন।

সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএস

চতুর্থ দিন জয়ের সুবাস টপ নিউজ প্রথম টেস্ট বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ মুমিনুল হক মেহেদি হাসান মিরাজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বাংলাদেশ-ভারত টেস্টে হামলার হুমকি!
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৫

সম্পর্কিত খবর