Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘স্কোরবোর্ডে রান নয়, লক্ষ্য ছিল সারাদিন ব্যাটিংয়ের’

স্পোর্টস ডেস্ক
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:০২

বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে চতুর্থ দিন পর্যন্ত জয়ের আশা দেখছিল স্বাগতিকরাই। তবে ম্যাচের মোড় ঘুরে গেছে পঞ্চম দিনের শুরু থেকেই। অভিষিক্ত দুই তরুণ ক্যারিবিয় ব্যাটসম্যান কাইল মেয়ার্স আর এনক্রুমা বোনারের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটের জয় নিয়ে রূপকথা লিখেছে উইন্ডিজ। আর সেই রূপকথার নায়ক ছিলেন অভিষেক টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো কাইল মেয়ার্স।

বিজ্ঞাপন

ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের জানালেন মেয়ার্সের লক্ষ্য ছিল সারাদিন ব্যাট করার। স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়ে রানের সংখ্যা দেখে চাপে পড়া নয়। সারাদিন খেলেছেন তো বটেই। রানটাও ঠিকই তুলে নিয়েছেন মেয়ার্স। আর নিজের রানের সঙ্গে সঙ্গে দলকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন মেয়ার্স।

মেয়ার্স বলেন, ‘আমি আসলে লক্ষ্যের দিকে তাকাচ্ছিলাম না। আমি আমার পরিকল্পনা নিয়ে যতক্ষণ সম্ভব এগুনোর চেষ্টা করছিলাম, চেষ্টা করেছি স্কোরবোর্ডের দিকে না তাকাতে, যত বেশিক্ষণ পারা যায় ততক্ষণ ব্যাট করতে। আমার নিজের মধ্যে বিশ্বাস ছিল যে আমি সারাদিন ব্যাট করতে পারলে দল জয় পাবে।’

তার আশাটাই সত্য হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। স্কোরবোর্ডের দিকে না তাকিয়ে সারাদিন ব্যাট করেছেন আর জয়ও এনে দিয়েছেন উইন্ডিজকে। সেই সঙ্গে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ড বইয়েও। নিজের দুর্দান্ত এই ইনিংসের কথা বলতে গিয়ে মেয়ার্স জানান, ‘আমার কাছে এটি খুবই স্পেশাল। আমার সর্বোচ্চ স্কোর। এবং আমার প্রথম টেস্টে। তাই এটি আমার জন্য খুবই স্পেশাল। আসলে আমার ঘরোয়াতে বেশ কয়েকটি সেঞ্চুরি আছে। কিন্তু এটা আমার কাছে খুবই স্পেশাল। এটি আমার সর্বোচ্চ স্কোর। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে আমি এবারই এতক্ষণ ব্যাট করলাম। সুতরাং এটি আমার কাছে অনেক স্পেশাল যে আমি আমার প্রথম টেস্টেই ডাবল পেয়েছি।’

চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষেই দেখা মিলেছিল বাংলাদেশের বোলারদের প্রত্যাশিত টার্ন ও বাউন্স। অর্থাৎ স্পিনারদের জন্য উপযুক্ত উইকেটই ছিল বলে মনে করা হচ্ছিল। আর স্পিন বিষেই উইন্ডিজকে ঘায়েল করার মন্ত্র এঁটেছিল টাইগাররা। উইকেট নিয়ে ম্যাচ শেষে মেয়ার্স জানালেন, ‘এই উইকেটে ব্যাট করা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং ছিল। বোলাররা ভালো করেছে। এমন কিছু সময় ছিল যখন আমাদের পিচে খুঁটি গেড়ে টিকে থাকতে হয়েছে। এরপর রান করার সুযোগ এলে সেটি নিয়েছি। সত্যি বলতে এটি কঠিন ছিল। কিছু বল নীচু ছিল, কিছু বল বাউন্স করেছে। স্পিনাররা টার্ন করাচ্ছিল, আর্ম বল করছিল। উইকেট এক এক সময় এক এক রকম আচরণ করছিল। আমি আমার পরিকল্পনা মেনে চলেছি এবং সোজা ব্যাট নিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি এবং ভালো কিছুর আশা করেছি।’

বিজ্ঞাপন

সবশেষে নিজের রেকর্ড গড়া এই ডাবল সেঞ্চুরিটি মেয়ার্স উৎসর্গ করেছেন প্রিয়জনদের। মেয়ার্স বলেন, ‘আমার পরিবার, বন্ধু, আমার এখানকার এবং ঘরের মাটিতে থাকা কোচদের যারা আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে আমার সঙ্গে ছিল। আমি তাদের ধন্যবাদ দিতে চাই।’

সারাবাংলা/এসএস

কাইল মেয়ার্স চট্টগ্রাম টেস্ট প্রথম টেস্ট বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর