রাওয়ালপিন্ডিতে চট্টগ্রামের কাইল মায়ার্স হতে পারলেন না এইডেন মার্করাম। এনকু্রম বোনার হতে পারেননি টেম্বা বাভুমা। চট্টগ্রামে বাংলাদেশের দেওয়া ৩৯৫ রানের টার্গেট পেরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিয়েছেন মায়ার্স-বোনার। রাওয়ালপিন্ডিতে জিততে চতুর্থ ইনিংসে ৩৭০ রানের টার্গেট ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। সম্ভবনা জাগালেও শেষ পর্যন্ত পারেননি মার্করাম-বাভুমারা। ৯৫ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তান।
এই জয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে প্রোটিয়াদের হোয়াইটওয়াশ করল পাকিস্তান। করাচিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটে জিতেছিল বাবর আজমের দল।
৩৭০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ছিল ১২৭/১। মার্করাম অপরাজিত ছিলেন ৫৯ রানে, ভ্যান ডার ডুসেন ৪৮ রানে। ডুসেন আজ এক রানও যোগ করতে পারেননি। আউট হয়েছেন ৪৮ রানেই। তারপর দাঁড়িয়ে গেলেন বাভুমা।
চতুর্থ উইকেটে দুজনের জুটি একশ পেরুলে মনে হচ্ছিল এশিয়ার মাটিতে বুঝি আরেকটা অবিশ্বাস্য জয়ের ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে! তিন উইকেটে ২৪১ রান তুলে ফেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর ১৩০ রান তুলতে পারলেই পাকিস্তানকে হারিয়ে দিতে পারত দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পারলেও এশিয়ার মাটিতে চতুর্থ উইকেটে সাড়ে তিনশ’র বেশি রান তাড়া করা যে বহু কঠিন কাজ সেটা দক্ষিণ আফ্রিকটা টের পেল তার পরেই।
২৪৩ বলে ১৩টি চার ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১০৮ রান করা মার্করাম ফিরেছেন দলীয় ২৪১ রানের মাথায়। তারপর আর ৩২ রান যোগ করতেই শেষ দক্ষিণ আফ্রিকা। সারা দিন নির্বিষ থাকা হাসান আলি আর শাহিন শাহ আফ্রিদি হঠাৎ-ই জ্বলে উঠলেন। অন্য দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার শেষের ব্যাটসম্যানরাও যেন প্রতিরোধের ভাষা খুঁজে পেলেন না! ৩২ রানের শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রানে গুটিয়ে গেছে প্রোটিয়ারা।
বাভুমা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬১ রান করেছেন। হাসান আলি ৬০ রান খরচায় নিয়েছেন ৫ উইকেট। এই সিরিজেই দলে ফেরা হাসান ম্যাচ সেরাও হয়েছেন, প্রথম ইনিংসেও পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। শাহিন শাহ আফ্রিদি নিয়েছেন চার উইকেট।
উল্লেখ্য, রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রান তোলা পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে তুলেছিল ২৯৮ রান। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে তোলে ২০১ রান।