কাল অবসরে যাচ্ছেন রাজ্জাক-নাফিস
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৩:৪১
সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসরে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের আইকনিক ডুয়ো আব্দুর রাজ্জাক ও শাহরিয়ার নাফিস। আগামিকাল ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) মাধ্যমে তারা নিজ নিজ ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘোষণা দিবেন।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া সেন্টার সংলগ্ন ১ নং প্লাজায় ‘পিচ ফাউন্ডেশন’ এর একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেটা শেষ হতেই মঞ্চ থেকে তাদের বিদায়ের ঘোষণা আসবে।
শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সারাবাংলাকে এখবর নিশ্চিত করেছেন কোয়াব’র সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল।
দেবব্রত জানালেন, ‘আগামীকাল কোয়াবের মাধ্যমে আব্দুর রাজ্জাক ও শাহরিয়ার নাফিস অবসরের ঘোষণা দিবেন। পিচ ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানের পর একই মঞ্চে তাদের জন্য আমরা এই আয়োজন রেখেছি।’
সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নবম বোর্ড সভায় নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমনের সঙ্গী হিসেবে আব্দুর রাজ্জাককে চূড়ান্ত করে টাইগার ক্রিকেট প্রশাসন। ভাল খবর হল, বাংলাদেশ দলের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার নির্বাচক হিসেবে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। সব ঠিক থাকলে দু এক দিনের মধ্যে নিয়োগপত্রও হাতে পেয়ে যাবেন।
এদিকে শাহরিয়ার নাফিসকে নিয়ে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি বিসিবি’র ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ম্যানেজার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হতে যাচ্ছেন। কিন্তু না, বর্তমান ম্যানেজার সাব্বির খানের ডেপুটি হিসেবে তিনি আপাতত কাজ করবেন।
বাংলাদেশের একমাত্র বোলার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬০০ উইকেট শিকারি আব্দুর রাজ্জাক। তার বর্তমান উইকেট সংখ্যা এখন ৬৩৪। ৫ উইকেট নিয়েছেন ৪১ বার, ম্যাচে ১০ উইকেট ১১ বার। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিয়েছেন ৪১২ উইকেট। সেরা বোলিং ইনিংস ১৭ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সীমিত ওভারের খেলায়ও এক সময়ে বাংলাদেশ দল তাকে ছাড়া ভাবা যেত না। তাছাড়া ওয়ানডেতে বাংলাদেশের প্রথম দুইশ উইকেট শিকারি তিনিই। এই ফর্মেটে ১৫৩ ম্যাচ খেলে নিয়েছে ২০৭ উইকেট। ১৩ টেস্টে তার শিকার ২৮ উ্ইকেট। আর ৩৪ টি টোয়েন্টি খেলে থলিতে পুরেছেন ৪৪ উইকেট।
শাহরিয়ার নাফিস ২৪ টেস্টে ৪৮ ইনিংসে ২৬.৩৯ রান গড়ে সংগ্রহ করেছেন ১২৬৭ রান। সেঞ্চুরি ১টি ও ফিফটি ৪টি। একমাত্র সেঞ্চুরিটি এসেছিল ২০০৬ সালে, ফতুল্লায়, সফরকারি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ব্রেট লি, জ্যাসন গিলেস্পি ও শেন ওয়ার্নদের ওমন বারুদে বোলিংয়ের বিপক্ষেও খেলেছিলেন ১৩৮ রানের ঝলমলে এক ইনিংস।
আর ওয়ানডেতে ৭৫ ম্যাচে ৩১.৪৪ গড়ে নামের পাশে যোগ করেছেন ২২০১ রান। সেঞ্চুরি চারটি ও ফিফটি ১৩টি। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনিই প্রথম আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেঞ্চুরির দেখা পান (২০০৬ সালে, জয়পুরে, ১২৩ রান, প্রতিপক্ষ-জিম্বাবুয়ে)। একমাত্র টি টোয়েন্টি থেকে সংগ্রহ করেছেন ২৫ রান।