Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বসন্ত দিনেও আষাঢ়ের ঘোর বর্ষা নামালো টাইগাররা


১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:১৩

ঋতু চক্রে শীতের রুক্ষতা শেষে আজই ধরায় বসন্ত এল। ঋতুরাজের আগমনে প্রকৃতিতে সজীবতার ছোঁয়া, কোকিলের কুহু তান, তাতে উজ্জীবিত প্রাণ। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটে ঠিক বিপরীত চিত্র। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় সাঁরির দলের কাছে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হয়ে যেন আষাঢ়ের ঘোর বর্ষা নামাল টিম বাংলাদেশ।

চট্টগ্রামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট পঞ্চম দিনে গড়ালেও ঢাকায় দ্বিতীয় ওশেষ টেস্টে একদিন বাকি থাকতেই গুটিয়ে গেল স্বাগতিকরা! টেস্ট মর্যাদার ২১ বছরের পথ চলায়ও ঘরের মাঠে ২৩১ রানের লক্ষ্য ছুঁতে ব্যর্থ ডোমিঙ্গো শিষ্যরা! আবারও প্রশ্নবিদ্ধ লাল সবুজের দলের সাদা পোষাকের সামর্থ।

বিজ্ঞাপন

অথচ জয়ের মঞ্চ তাদের জন্য প্রস্তুতই ছিল। তাইজুল ইসলাম (৪ উইকেট), নাঈম হাসান (৩ উইকেট), আবু জায়েদ রাহি (২ উইকেট) ও মেহেদি মিরাজের (১ উইকেট) প্রবল আক্রমণাত্মক বলে দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিবিয়রা মাত্র ১১৭ রানে গুটিয়ে গেল জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩১ রান। হাতে ছিল দেড় দিনেরও বেশি সময়। কিন্তু বিস্ময়করভাবে তারা শেষ সেশনেই গুটিয়ে গেলেন ২১৩। অর্থাৎ একটি সেশনও তারা উইকেটে টিকে পারেননি। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫০ রান এল তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রানের ইনিংস খেললেন ‘নিঃসঙ্গ শেরপা’ মেহেদি হাসান মিরাজ। বারবারই মনে হচ্ছিল আর একজন ব্যাটসম্যানও যদি ওই প্রান্তে থাকতেন নিশ্চয়ই এই ম্যাচের গল্প ভিন্ন হতে পারত। না, হয়নি। বরং ক্রিকেটে যা হওয়ার কথা ও হওয়া উচিত তাই হয়েছে।

কিন্তু কেন এমন হল? ঘরের মাঠেও কেন দ্বিতীয় সাঁড়ির এই দলটির কাছে নাজেহাল টাইগাররা? জানতে চাওয়া হয়েছিল খালেদ মাসুদ পাইলটের কাছে। জবাবে তিনটি করণ সুস্পষ্ট বললেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক এই অধিনায়ক। প্রথমটি, প্রস্তুতির অভাব। দ্বিতীয়টি, দলের দৈন্য পারফরম্যান্স। আর তৃতীয় ও শেষটি হল, টিম ম্যানেজমেন্টর অদক্ষতা ও অদূরদর্শীতা।

বিজ্ঞাপন

প্রস্তুতির ঘাটতি নিয়ে বলতে গিয়ে পাইলট জানালেন, ‘দেখেন টেস্ট ক্রিকেটটা এমন নয় যে এক দু্ই দিন প্রস্তুতি নিলাম আর খেলতে নেমে গেলাম। এখানে খেলতে যে প্রস্তুতির প্রয়োজন সেটা আমাদের ছিল না। করোনার সময় বিসিবি ক্রিকেট ফেরালেও সেখানে আমরা সাদা বলের ক্রিকেটের প্রস্তুতি দেখেছি। তাদের উচিত ছিল একটি হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতামুলক চার দিনের ম্যাচ আয়োজন করা। দুঃখজনক হলেও আমরা তা দেখিনি।’

তামিম, মুশফিকদের দৈন্য পারফরম্যান্স নিয়ে তার মন্তব্য হল, ‘টেস্ট ক্রিকেট মানেই ধৈর্য়্য ও দক্ষতা। এখানে দিনের পর দিন উইকেটে পড়ে থাকতে হয়। কিন্তু আমাদের ক্রিকেটারদের মধ্যে তার ছিঁটোফোটাও দেখা যায়নি। অথচ দেখেন ওরা বয়সে তরুণ হয়েও কী দারুণ খেলল। এটা ভারতের ‘এ’ দলের বিপক্ষে হলেও মেনে নেয়া যেত কারণ ওদের ক্রিকেট সংস্কৃতি আছে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থাতো আর ভারতের মত নয়। তাহলে কি করে মেনে নেই বলেন?’

আর টিম ম্যানেজমেন্টের অদক্ষতা নিয়ে তিনি জানালেন, ‘আমি একটি ব্যাপার বুঝিনি, যে সৌম্য সরকারকে টেস্টের প্রাথমিক দলেও রাখা হলো না তাকে কেন সিরিজের মাঝামাঝি দলে ডাকা হল? এই একটি প্রশ্নের উত্তর তারা আমাকে দিক।’

খালেদ মাসুদ পাইলট বাংলাদেশ ক্রিকেট বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দু’দিনে ভারতে ৯৯ টন ইলিশ রফতানি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৪

সম্পর্কিত খবর