টেস্টের বদলে আইপিএল খেলবেন সাকিব: কারণ জানেন হার্ষা
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:৩৫
জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলার বদলে সাকিব আল হাসানের আইপিএল খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা চলছে দিনভর। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী এপ্রিলে শুরু হবে আইপিএলের পরবর্তী আসর। ওই সময়টাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলার কথা বাংলাদেশ দলের। আইপিএল খেলতে চান বলে টেস্ট সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছেন সাকিব। বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেন না অনেকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্নও উঠছে। বোর্ডের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে ‘এটা ভালো উদাহরণ সৃষ্টি হলো না’। তবে সাকিবের এই সিদ্ধান্তের যথাযথ কারণ আছে বলে মনে করছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার, ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্ষা ভোগলে।
আগামী দুই বছরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (২০২১ ও ২০২২ সালে) এবং একটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ (২০২৩ সালে)। চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, পরের বছরে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এই দুই বিশ্বকাপ হবে ভারতের মাটিতে। ফলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেই আইপিএল খেলতে ক্রিকেটারদের এতো তোড়জোড় মনে করছেন হার্ষা। ভারতীয় ধারাভাষ্যকারের ইঙ্গিত, সাকিব জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলার বদলে ভারতের মাটিতে আইপিএল খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেই কারণেই!
হার্ষা টুইটারে লিখেছেন, ‘অনেক ক্রিকেটারই দেশের হয়ে টেস্ট খেলার চেয়ে আইপিএলকে বেছে নিচ্ছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টের বদলে সাকিব আল হাসান খেলবেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। আগামী দুই বছরে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং একটি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ আছে। অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়টি তাই আরও সহজ হয়ে উঠছে।’
হার্ষার এই টুইট ধরে সমালোচকদের যেন জবাব দিতে চাইলেন সাকিব আল হাসানের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির। হার্ষার টুইটটি নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করে সাকিবপত্নী লিখেছেন, ‘তার (সাকিব) সব সময়ই একটা পরিকল্পনা থাকে।’
সাকিবের টেস্টে বদলে আইপিএল খেলার ছুটি মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করার সময় বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সাকিব আপাতত টি-টোয়েন্টি বেশি খেলতে চান। তবে বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা তা জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে জাতীয় দল যখন প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সাকিব তখন আইপিএলে ছিলেন। প্রিয় কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে ডেকে নিয়ে নিবিড়ে অনুশীলন করে গেছেন ওই সময়টাতে। বিশ্বকাপে যার পুরস্কার পেয়েছেন হাতেনাতেই।
বিশ্বকাপে তাক লাগানো পারফরম্যান্স করেছিলেন সাকিব। আট ম্যাচে ৮৬.৫৭ গড়ে রান করেছিলেন ৬০৬। আর উইকেট তুলে নেন ১১টি।