মাঠে বিশ্বসেরা, ঘরের কাজেও পটু
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:৫৮
‘যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে’- বিরাট কোহলির ক্ষেত্রে বাংলা এই প্রবাদটা বেশ মিলে যায়। অনেক বছর ধরেই বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান মনে করা হয় কোহলিকে। ভারতীয় দলকে অনেকদিন ধরে নেতৃত্বও দিয়ে আসছেন। স্বাভাবিকভাবেই মাঠ, মাঠের বাইরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্যস্ততায় ডুবে থাকার কথা কোহলির। অথচ এসবের মধ্যে নাকি ঘরের কাজগুলোও ঠিকমতো করেন ক্রিকেটবিশ্বের বর্তমান সেরা তারকা। বাড়িতে কোনো অতিথি গেলে কোহলি এবং তার স্ত্রী আনুশকা শর্মা নিজেরাই নাকি চা-নাস্তা বানিয়ে আপ্যায়ন করেন। কোহলিকে বিনয়ী বুঝাতে এই প্রসঙ্গটা টেনেছেন ভারতের সাবেক নির্বাচক শরণদীপ সিং।
মাঠের কোহলি নানান বিষয়ে আলোচিত, আবার সমালোচিতও। মাঠের কোহলি বরাবরই আগ্রাসী। চোখে-সুখে সব সময় লেগে থাকে রাগ রাগ ভাব। কেউ কেউ মনে করেন, কোহলি রাগী, জেদী, অহংকারী। কিন্তু মাঠের বাইরের কোহলি নাকি তার ঠিক উল্টো। শরণদীপ সিং বলেছেন, মাঠের বাইরের কোহলি চুপচাপ স্বভাবের এবং বিনয়ী। উদাহরণ দিতে গিয়ে কোহলির চা-নাস্তা বানিয়ে খাওয়ানোর প্রসঙ্গ টেনেছেন তিনি।
ভারতের সাবেক নির্বাচক বলেছেন, ‘মাঠে কোহলি পুরোপুরি অন্য রকম। সে সেখানে অনেক আগ্রাসী। ব্যাটিং কিংবা বোলিং—যেকোনো সময়ই তাকে উত্তপ্ত মনে হয়। মনে হয় সে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। কাউকে পাত্তা দেয় না, এমন। কিন্তু মাঠের বাইরে সে চুপচাপ, বিনয়ী। নির্বাচনী বৈঠকের সময় তাকে দেখেছি, সে খুব নরম ভাষায় কথা বলে সবার সঙ্গে। বেশির ভাগ সময়ই চুপচাপ থেকে সবার কথা শোনে। নিজের সিদ্ধান্ত সবাইকে বুঝিয়ে বলে। এক থেকে দেড় ঘণ্টার নির্বাচনী বৈঠকে দেখতাম সে চুপচাপ সবার কথা শুনছে। কথাবার্তাতেও বলত খুব মৃদু স্বরে।’
বিনয়ী কোহলি সংসারও সামলান দারুণভাবে বলেছেন শরণদীপ, ‘ওর বাড়িতে কোনো পরিচারক বা পরিচারিকা নেই। ঘরে নিজেদের কাজ, সে আর আনুশকা নিজেরাই করে। কেউ বেড়াতে গেলে আপ্যায়নও তারা নিজেরাই করে। কোহলি-আনুশকা নিজের হাতে অতিথিকে চা-নাশতা বানিয়ে খাওয়ায়।’
কোহলি মাঠে যে আগ্রাসী সেটাও স্বীকার করেছেন শরণদীপ। তার আগ্রসনের পক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন, ‘আমার মনে হয় সে যেহেতু দলের অধিনায়ক, তাই তাকে আগ্রাসী হতে হয়। মাঠের সব চাপ তাকেই নিতে হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তাই মাঠে সে এমন করে। কিন্তু ওই আচরণটা পুরোপুরি খেলাকেন্দ্রিক। খেলা শেষ তো কোহলি পুরোপুরি ভিন্ন মানুষ।’