৯১*, ৯৩*, ৯৯*- নব্বয়ের গেরোতে ডেভন করওয়ের
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:১৩
হতভাগা বুঝি একেই বলে! ডেভন করওয়ের প্রফেশনাল ক্রিকেট খেলছেন দশ বছরের বেশি সময় ধরে। এই সময়ে ৮৭টি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে সেঞ্চুরি পেয়েছেন ২টি। নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি সংখ্যা হতে পারত ৫টি। গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে আজ ২২ ফেব্রুয়ারি, এই ১৪ দিনের ব্যবধানে পেয়েছিলেন তিন সেঞ্চুরির সুযোগ। কিন্তু তিনবারই নব্বয়ের ঘরে অপরাজিত থেকে সেঞ্চুরি মিসের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। হতভাগ্য নয় তো কী!
ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আজ ৯৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন কিউই তরুণ। করওয়েলের ব্যাটেই ৫৩ রানের বড় জয়ের খুঁটি গেড়েছিল নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচের আগে নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সুপার স্ম্যাশে করওয়েলের সর্বশেষ চারটি ইনিংস ছিল যথাক্রমে ৫০, ৬৯*, ৯১* ও ৯৩*। আজ জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নেমে অপরাজিত থাকলেন ৯৯ রানে। দল আগেভাগে না জিতে গেলে ৬৯ রানে অপরাজিত থাকা ম্যাচটিতেও সেঞ্চুরি পেতে পারতেন করওয়ের। অর্থাৎ টানা চার সেঞ্চুরির সম্ভবনা মিস!
একটা রেকর্ড অবশ্য হয়েছে ডেভন করওয়ের। নিউজিল্যান্ডের কেউ তো নয়ই, অতীতে বিশ্বের কোনো ব্যাটসম্যানই স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে টানা পাঁচ ফিফটি করতে পারেননি। সেঞ্চুরিগুলো হতে বড়সড় একটা রেকর্ডই হতো ২৯ বছর বয়সী করওয়েরের।
ক্রাইস্টচার্চে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ১৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল নিউজিল্যান্ড। তারপর থেকে ডেভন করওয়ের প্রতিরোধ। দারুণ সঙ্গ পেয়েছিলেন গ্লেন ফিলিপস (২০ বলে ৩০) ও জেমি নিশামের (১৫ বলে ২৬)। করওয়ের ৫৯ বলে ১০ চার ৩ ছয়ে করেন ৯৯। যাতে শুরুতে ধুঁকতে থাকা নিউজিল্যান্ড শেষ পর্যন্ত ১৮৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায়।
পরে জবাব দিতে নেমে শুরুতে বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া্ও। ১৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। তারপর বড় কোনো প্রতিরোধও গড়তে পারেনি অজিরা। যাতে ১৭.৩ ওভারে ১৩১ রানেই গুটিয়ে গছে অস্ট্রেলিয়া। সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেছেন শন মার্শ। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২৮ রানে চার উইকেট নিয়েছেন ইশ শোধী।
টি-টোয়েন্টি সিরিজ ডেভন করওয়ের নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ