আইসোলেশনে তাসকিনদের কঠিন অভিজ্ঞতা
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১২:৫৮
বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে করোনাকালে খেলাধুলা মাঠে ফেরানো হয়েছে ঠিকই কিন্তু খেলায় স্বাভাবিকতা ফিরেনি এখনো। বেশিরভাগ জায়গায় দর্শকরা মাঠে প্রবেশ করতে পারছেন না। সবচেয়ে বেশি ‘ভুগতে’ হচ্ছে হয়তো খেলোয়াড়দের। টানা বায়ো বাবলে থাকতে হচ্ছে খেলোয়াড়দের। সেই সময়ে পরিবার বা বাইরের জগৎ থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। অন্য দশজনের মতো তাসকিন আহমেদের জন্যও এমন পরিস্থিতি কঠিন।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড গেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। দলের সঙ্গে আছেন তাসকিনও। নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে আইসোলেশনে থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের। আর এই আইসোলেশনটাই যেন অসহ্য লাগছে তাসকিনের কাছে!
টানা দুই দিন পুরোপুরি ঘরবন্দি থাকতে হয়েছে। দুই দিন পর ৩০-৪০ মিনিটের জন্য দলের অন্য সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে পেরেছেন ঠিকই, কিন্তু বজায় রাখতে হয়েছে ২ মিটার দুরত্ব। তাসকিনের অবস্থা রীতিমতো ‘ছেড়ে দে মা দৌড়ে বাঁচি…’!
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নিজের আইসোলেশন অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তাসকিন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আসলে এ রকম আইসোলেশনে একটি আলাদা অভিজ্ঞতা। আর আগে কখনো এভাবে সময় কাটানো হয়নি। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর আমরা ৩০-৪০ মিনিটের জন্য ২ মিটার দুরত্ব বজায় রেখে হাঁটান সুযোগ পেয়েছি। তারপর আবার রুমে চলে এসেছি। তা ভালো লাগছে.. (সবার সঙ্গে দেখা হওয়াতে)। টানা দুই দিন একদম বন্দি রুমে। প্রথম করোনা পরীক্ষায় সবার নেগেটিভ আসার পরে আমাদের হাঁটতে দিয়েছে। তো আরও কিছু টেস্ট বাকি আছে। এরপর ইনশাআল্লাহ আল্লাহ চাইলে আমরা অনুশীলন শুরু করতে পারবো। তো সব মিলিয়ে আলাদা অনুভূতি। চাইবো যত দ্রুত অভিজ্ঞতাটা শেষ হোক, ততোই ভালো।’
টানা ৪৮ ঘণ্টা রুমবন্দি! বিষয়টা নিশ্বন্দেহে যে কারো জন্যই কঠিন। কীভাবে সেই সময়টা কাটল? তাসকিনের উত্তর, ‘সময় কাটছে আসলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে (ফোনে), সিনেমা দেখে। বিসিবি থেকে আমাদের কিছু শরীরচর্চারও ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কিছু ব্যান্ডস আর সাইকেলিংয়ের জন্য দেওয়া হয়েছে। কিছু কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে রুমে যে সব শরীরচর্চা করা সম্ভব সেগুলো করার জন্য। তো সব মিলিয়ে এভাবেই সময় কেটে যাচ্ছে। কিছু শরীরেচর্চা, সিনেমা, পরিবারকে সময় এভাবেই।’
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।