ভারতের চাপেই সিদ্ধান্ত বদলাবে আইসিসি?
৩ মার্চ ২০২১ ১৩:০৭
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি কদিন আগেই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল ২০২৩ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত আইসিসি’র সকল টুর্নামেন্টগুলো বিডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বণ্টন করা হবে। আর সেখানে অংশগ্রহণ করতে পারবে বিশ্বের সকল দেশই। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হচ্ছে আইসিসিকে। আর এর পেছনের কারণ হিসেবে কাজ করছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই)। এমন সিদ্ধান্তে বিসিসিআইকে সমর্থন দিচ্ছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) এবং ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইসিসি’র বেশির ভাগ টুর্নামেন্টেরই আয়োজক দেশ হিসেবে জায়গা দখল করে রেখেছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড। যার ফলে ক্রিকেটের অন্যান্য পরাশক্তি বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোতে আয়োজন হচ্ছে না আইসিসি’র বড় কোনো টুর্নামেন্ট।
এদিকে ২০২৩ সাল থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত আট বছরে ছেলেদের মোট ৮টি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজিত হবে, মেয়েদের ৮টি এবং সমান সংখ্যক টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলেরও। অর্থাৎ সবমিলিয়ে মোট ২৪টি আইসিসি’র টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। যার স্বাগতিক দেশ নির্বাচিত হবে বিডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, সেটাই জানিয়েছিল আইসিসি। আর এতেই বিরোধিতা তিন মোড়ল খ্যাত ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের। তবে সবচেয়ে বড় ভুমিকা রাখছে বিসিসিআই। অনেকের ধারণা, প্রত্যেকটি দেশ বিডিং করলে তিন মোড়লের টুর্নামেন্ট আয়োজনের সংখ্যা কমে যাবে।
আইসিসি’র বিডিং প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছিল বিশ্বের বেশিরভাগ ক্রিকেট বোর্ড। কেননা এতে করে সকল দেশের জন্য স্বগতিক হওয়ার সমান সম্ভবনা তৈরি হত। আর আর্থিকভাবে তুলনামূলক দুর্বল দেশগুলোও বাড়তি অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে লাভবান হতে পারত।
আইসিসি এই বিষয়ে এখনও কোনো কিছু না বললেও ধারণা করা হচ্ছে বিডিং প্রক্রিয়া থেকে সরে আসতে যাচ্ছে তারা। যদিও তাঁদের পরিকল্পনা ছিল এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমেরিকা ও আফ্রিকার মতো দেশগুলোকে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো দেশের পরিপূরক তৈরি করা। তবে সংযত কারণেই আইসিসি’র এই পরিকল্পনা সহসায় বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
সারাবাংলা/এসএস
আইসিসি আইসিসি'র টুর্নামেন্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বিসিসিআই