Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হালান্ডের রেকর্ডে কোয়ার্টারে বুরুশিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক
১০ মার্চ ২০২১ ০৮:৫৩

জার্মানির সিগন্যাল ইদুনা পার্কে এর্লিং হালান্ডে জোড়া গোলের পর সেভিয়া ঘুরে দাঁড়ালেও শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে সমতায় শেষ হয় ম্যাচ। আর প্রথম লেগে ৩-২ গোলের ব্যবধানে জিতে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড। আর জোড়া গোল করে হালান্ড নাম লেখালেন চারটি রেকর্ডে।

সেভিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগে গোল করে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে টানা ৬ ম্যাচে গোলের রেকর্ড গড়লেন হালান্ড। এই প্রতিযোগিতায় ১৪ ম্যাচে হালান্ডের গোল সংখ্যা ২০টি, প্রতিযোগিতাটিতে যা দ্রুততম ২০ গোলের রেকর্ড। ২৪ ম্যাচে ২০ গোল করে আগের রেকর্ড ছিল ইংলিশ ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইনের। তার বয়স ২০ বছর ২৩১ দিন।

২১ বছরে পা রাখার আগে চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডও নিজের করে নিলেন হালান্ড। এখানে পেছনে ফেলেছেন কিলিয়ান এমবাপেকে (১৯ গোল)। ইউরোপীয় প্রতিযোগিতাটিতে নরওয়ের সর্বোচ্চ গোলের তালিকাতেও উঠলেন চূড়ায়। ১৯ গোল নিয়ে এতদিন রেকর্ডটি ছিল বর্তমানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ ওলে গানার শোলশায়ারের।

এদিকে ইদুনা পার্কে ম্যাচের শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল সেভিয়া। প্রথমার্ধে আক্রমণ ও বল দখলে অনেকটা এগিয়ে থাকা দলটি চতুর্থ মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নেয়। ডি-বক্সের বাইরে থেকে লুকাস ওকাম্পোসের শট পাঞ্চ করে ফেরান গোলরক্ষক।

তবে ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে এসে এর্লিং হালান্ডের গোলে লিড নেয় বুরুশিয়া। মাহমুদ দাহুদের থ্রু বল ডি-বক্সে পেয়ে মার্কো রয়েস পাস দেন ছয় গজ বক্সের সামনে হালান্ডের উদ্দেশ্যে। এরপর ম্যচের দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিটে স্পট কিক থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হালান্ড। এই গোলের আগে এক দফা নাটক হয়ে যায় মাঠে। হলান্ড অনেকটা একক নৈপুণ্যে বল জালে পাঠালেও গোল মেলেনি, সেভিয়ার ডিফেন্ডার জুল কুইন্দি তাকে ফাউল করায় ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দেন রেফারি।

প্রথমবার অবশ্য পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি হলান্ড। তার শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়া ইয়াসিন বোনোর হাত ছুঁয়ে পোস্টে লাগে। কিন্তু সেভিয়া গোলরক্ষক আগেই লাইন থেকে সরে আসায় ভিএআরের সাহায্যে আবার পেনাল্টি দেন রেফারি। এবার আর ভুল করেননি হলান্ড।

৬৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান ইউসেফ এন-নেসিরি। ডি-বক্সে লুক ডি ইয়ং ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। যোগ করা সময়ে ইভান রাকিতিচের ক্রসে হেডে সমতা ফেরান তিনি। কিন্তু সফরকারীদের মাঠ ছাড়তে হয় ছিটকে পড়ার হতাশায়।

সারাবাংলা/এসএস

২০২০/২১ মৌসুম উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ এর্লিং হালান্ড বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড বনাম শালকে শেষ ষোল


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর