তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারে স্পিন বলছেন ভেট্টোরি
১১ মার্চ ২০২১ ১৭:৪২
নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে বরাবরই পেসারদের জন্য আদর্শ। সবুজ উইকেটে গতি, বাউন্সার ও সুইংয়ের পসরা সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা যায় অনায়াসেই। কিন্তু তাই বলে স্পিন বোলিং যে সেখানে একেবারেই অকার্যকর সেটা মানতে নারাজ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। কিউদের বিপক্ষে টাইগারদের আসন্ন সিরিজে স্পিন বোলিংও গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে বলেই মত তার।
উদাহরণ খুঁজতে অবশ্য খুব বেশি দূর যেতে হয়নি লাল সবুজের এই স্পিন বোলিং পরামর্শককে। সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়া সিরিজেই দেখেছেন মিচেল স্যান্টনার ও ইশ সোদি ঘূর্ণি জাদু চালিয়ে কী নাকানি চুবানিটাই অজিদের খাইয়েছেন! অতিথিদের বিপক্ষে ৫ ম্যাচ সিরিজের টি টোয়েন্টিতে ইশ সোদি তুলে নিয়েছেন ১৩ উইকেট! আর স্যান্টনার ড্রেসিং রুমের পথ দেখিয়েছে ৭ অজি ব্যাটসম্যানকে। কম যাননি দুই অজি স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগার, অ্যাডাম জাম্পাও। অ্যাগার থলিতে পুড়েছেন ৮ উইকেট , আর জাম্পা ৪টি। সংগত কারণেই স্পিনারদের নিয়ে আশায় বুক বাঁধছেন টাইগারদের স্পিন বোলিং পরামর্শকও, নিশ্চয়ই নিজের শিষ্যরাও পারবেন।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) নিউজিল্যান্ডের কুইন্সটাউনে বাংলাদেশ দলের প্রথম দিনের অনুশীলন শেষে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ড্যানিয়েল বলেন, ‘আমার মনে হয় স্পিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সফল ছিল। এমনকি অ্যাস্টন অ্যাগার, অ্যাডাম জাম্পারাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্পিন সাদা বলের ক্রিকেটের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এবং বিশেষত মিরাজ, তার অভিজ্ঞতা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার দারুণ পারফরম্যান্সের বিচারে সে দলকে অনেক কিছু দিতে পারবে, সঙ্গে মেহেদি এবং নাসুম আছে, তারাও দলে জায়গা করে নিতে পারে এবং দলের পারফরম্যান্সে ভূমিকা রাখতে পারে।’
টাইগারদের স্পিন বোলিং পরামর্শক হিসেবে ডেনিয়েল ভেট্টোরি দলের সঙ্গে সবশেষ ছিলেন ২০২০ সালের জিম্বাবুয়ে সিরিজে। ঘরের মাঠে গড়ানো ওই সিরিজের টেস্ট ম্যাচ শেষ করেই দেশের বিমান ধরেন নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি এই স্পিনার। ফলে এরপর আর কোন সিরিজেই তাকে দেখা যায়নি। সেই তিনি অবশেষে শিষ্যদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কুইন্সটাউনের চলমান প্রস্তুতি ক্যাম্পে। প্রায় এক বছর অনুশীলনে শিষ্যদের তাই উচ্ছ্বাস ধরে রাখতে পারেননি সাবেক এই কিউই দলপতি।
‘ফিরতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। বিশেষ করে কুইন্সটাউনে বাংলাদেশ খেলোয়াড়দের সঙ্গে। এক বছর পরে সবাইকে দেখতে পারাটা দারুণ ব্যাপার। ফিরতে পেরে, পরিচিত মুখদের দেখতে পেরে ভালো লাগছে। নেটে স্পিনারদের সঙ্গে কাজ করে দারুণ লাগছে। অনেক লম্বা সময় পর, তাই যেকোন ক্রিকেট, যেকোন আউটডোর অ্যাক্টিভিটি ভালো লাগছে। নিউজিল্যান্ড খুবই ভাগ্যবান যে তারা খেলাধুলা চালিয়ে যেতে পেরেছে এবং বাংলাদেশ সিরিজ হবে কেবল মাত্র সেটিরই ধারাবাহিকতা।’
সিরিজ শুরুর আগ পর্যন্ত কুইন্সটাউনেই মূল প্রস্তুতি সারবে টিম বাংলাদেশ। এরপর গড়াবে সিরিজ। আগামী ২০ মার্চ ডানেডিনে স্বাগতিক কিউইদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে নামবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। দ্বিতীয়টি ২৩ মার্চ ক্রাইস্টচার্চে, তৃতীয় ও শেষটি ২৬ মার্চ ওয়েলিংটনে।
তিন ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টির প্রথমটি গড়াবে ২৮ মার্চ হ্যামিল্টনে। দ্বিতীয়টি ৩০ মার্চ নেপিয়ারে ও তৃতীয়টি ১ এপ্রিল, অকল্যান্ডে।
ড্যানিয়েল ভেট্টোরি বাংলাদেশ ক্রিকেট বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ