Tuesday 08 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খেলোয়াড়দের উন্নত প্রশিক্ষণে তাগিদ


২২ মার্চ ২০১৮ ১২:২২
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

উন্নত প্রশিক্ষণের অভাবে অ্যাথলেট-খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে রাঙাতে পারছে না। উন্নত প্রশিক্ষণ, তাদের অংশগ্রহণ ও তৃণমূল পর্যায়ে বছরব্যাপী টুর্নামেন্টের আয়োজন নিয়ে তাগিদ দিচ্ছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সেজন্য আগামী অর্থবছরে ১২০ কোটি টাকার বরাদ্দের অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রী আব্দুল মাল আবুল মুহিতের উপস্থিতিতে এ বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এসময় দেশের ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ও উপস্থিত ছিলেন।

যুব ও ক্রীড়ার মন্ত্রণালয় জন্য বরাদ্দ জাতীয় বাজেটের ১৬ শতাংশের সিংহভাগই প্রশাসনিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় হওয়ায়, প্রতি বছর আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট কিংবা বড় ঘরোয়া গেমস আয়োজনের সময় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এবং নির্দিষ্ট ফেডারেশন গুলো মন্ত্রণালয় দৌড় ঝাপ শুরু করে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার ছাড় করাতে। এতে বছরব্যাপী উন্নত প্রশিক্ষণের অভাবে অ্যাথলেটরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পায় না কাঙ্খিত সাফল্য। এই ধারাবাহিকতারই পরিবর্তন আনতে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বিশেষ বৈঠক।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার জানান, ‘খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ, অংশগ্রহণ এবং আয়োজন এই তিনটি বিষয়ে আমাদের বরাদ্দ বেশি করতে হবে। আমরা কিভাবে ব্যয় করবো, কিভাবে আয়োজন করবো এবং বরাদ্দ সাজাবো তা চিন্তা করেই এই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’

সদ্যই শেষ হওয়া বাংলাদেশ যুব গেমস আয়োজন করতে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। বার্ষিক ১২০ কোটি টাকা কার্যকর ৩৯টি ফেডারেশনের জন্য অপ্রতুল্যই মানছে অলিম্পিক অ্যাশোসিয়েশন ও ফেডারেশনগুলো।

এছাড়াও স্কুল ফুটবলকে দেশব্যাপি মাধ্যমিক পর্যায়ে আনতে অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে ‘শেখ হাসিনা জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে’র জন্য বার্ষিক ১৫ কোটি টাকা আলাদা চেয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়।

প্রতি বছর জাতীয় বাজেটে ক্রীড়ার প্রশিক্ষণ, অংশগ্রহণ ও আয়োজনের জন্য ১২০ টাকা বরদ্দের অনুরোধ করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। যা পেলে বছরব্যাপী বিদেশি কোচ দিয়ে প্রশিক্ষণ সহ বিদেশি টুর্নামেন্ট গুলোতে অংশগ্রহণ সহজ হবে অ্যাথলেটদের। তবে এই অর্থ দেশের প্রায় ৫০টি ফেডারেশন এবং অ্যাসোশিয়েশনের চাহিদার ক্ষুদ্র অংশ বলেই মানছেন সংশ্লিষ্টরা।

সারাবাংলা/জেএইচ/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর