ঘরের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে শ্রীলংকাকে পাত্তাই দিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতে লংকানদের ধবল ধোলাই করল ক্যারিবীয়রা। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে লংকানদের দেওয়া ২৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ড্যারেন ব্রাভোর শতকে ৯ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মাত্র ২৭৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব বেশি ভালো ছিল না উইন্ডিজের। প্রথম পাওয়ার প্লে’র দশ ওভারের মধ্যেই মাত্র ৩৯ রান তুলতে দুটি উইকেট হারিয়ে ফেলে ক্যারিবীয়রা। তবে তৃতীয় উইকেটে ড্যারেন ব্রাভো ও শাই হোপের ব্যাটে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে যায় উইন্ডিজ। শাই হোপ অর্ধশতক করে ৬৪ রানে ফিরলে ভাঙে এই দুই ব্যাটসম্যানের ১০৯ রানের দুর্দান্ত জুটি।
যখন হোপ ফিরলেন তখনও ১১৩ বলে উইন্ডিজের প্রয়োজন ১২৭ রানের হাতে রয়েছে ৭টি উইকেট। এরপর হুট করেই মাত্র ৮ বলে ১৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন নিকোলাস পুরান। অন্যদিকে নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করে ফেললেন ড্যারেন ব্রাভোও। পঞ্চম উইকেটে কাইরন পোলার্ডের সঙ্গে মাত্র ৭০ বলে ৮০ রানের দুর্দান্ত জুটিতে দলকে জয়ের পথেই ধরে রেখেছিলেন ব্রাভো।
শেষ পর্যন্ত ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তো পেলেনই সেই সঙ্গে দুর্দান্ত ব্যাট করে ব্যক্তিগত ১০২ রানের মাথায় ফিরলেন প্যাভিলিয়নে। দলীয় ২৪৯ রানের মাথায় ব্রাভো ফেরেন ১৩২ বলে ৫ চার ও ৪ ছয়ের মারে ১০২ রানের ইনিংস খেলে। এরপরে বাকি কাজ সারেন পোলার্ড ও জেসন হোল্ডার। দুজনের ১৪ বলে ২৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৯ বল বাকি থাকতেই পাঁচ উইকেটের জয় তুলে নেয় ক্যারিবীয়রা। ম্যাচ জয়ের পথে নিজের ১২তম অর্ধশতক তুলে নেন পোলার্ড।
এর আগে শ্রীলঙ্কাকে ২৭৪ রান এনে দেয়ার মূল কৃতিত্ব দুই লেট মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আশেন বান্দারা ও হাসারাঙ্গা ডি সিলভার। ইনিংসের ৩২তম ওভারের মধ্যেই ১৫১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল লঙ্কানরা। ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেননি দানুশকা গুনাথিলাকা (৩৬) ও দিমুথ করুনারাত্নেরা (৩১)।
সেই অবস্থা থেকেই দলকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দেন বান্দারা ও হাসারাঙ্গা। অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেট জুটিতে তারা দুজন মিলে যোগ করেন ১২৩ রান। বান্দারা খেলেন ৭৪ বলে ৫৫ রানের ইনিংস, হাসারাঙ্গার ব্যাট থেকে আসে ৭ চার ও ৩ ছয়ে ৬০ বলে ৮০ রান। তবে শেষপর্যন্ত এটি জয়ের জন্য যথেষ্ঠ হয়নি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন আকিল হোসেন। নিজের দশ ওভারে মাত্র ৩৩ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি এই স্পিনার। তবে ম্যাচের দ্বিতীয়াংশে সকল আলো কেড়ে নেন ড্যারেন ব্রাভো এবং ম্যাচসেরার পুরস্কার। আর সিরিজসেরার পুরস্কার উঠেছে শাই হোপের হাতে।