নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আজ প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছিল ‘অন্য এক বাংলাদেশ’। সাকিব আল হাসান আগেই সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। পরে ‘ব্যক্তিগত কাজে’ ছুটি নিয়ে দেশে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। কাঁধের চোটের কারণে আজকের ম্যাচে খেলতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। অর্থাৎ সাকিব, তামিম, মুশফিককে ছাড়া মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। ২০০৬ সালের পর এমন ঘটনা ঘটল এই প্রথম। তাদের ছাড়া তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ ভালো করতে পারেনি। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারতে হয়েছে ৬৬ রানের বিশাল ব্যবধানে।
২১০ রানের জবাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১৪৪ রানে। ব্যাটিংয়ে সেই হতশ্রী দশা। আফিফ হোসেন ধ্রুব ছাড়া বলার মতো ইনিংস খেলতে পারেনি কেউ। জুটি হয়নি, হঠাৎ বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ার পর সেই চাপ আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে আগের ভুলের পূনরাবৃত্তি ঘটেছে। ম্যাচ শেষে সেটা স্বীকার করতে কার্পন্য করলেন না অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।
ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ বলছিলেন, ‘বোলাররা ভালো বোলিং করেছে, বোলারদের দোষ দিতে পারছি না। ফিল্ডিংয়ে কিছু বাড়তি বাউন্ডারি হয়েছে আমাদের। ১৯০ রানের আশেপাশে হলে সেটি তাড়া করে জেতা যেত। কিন্তু একসঙ্গে বেশি উইকেট হারানোর পর আর মাচ জেতা যায় না। আমরা এটাই করছি, একই ভুল বারবার করে চলেছি।’
সাকিব, তামিম, মুশফিকদের অনুপস্থিতিতে নাঈম শেখ, মেহেদি হাসানের মতো তরুণদের সুযোগ ছিল নিজেদের প্রমাণ করার। ম্যাচ জেতার সামর্থ দেখানোর। এক আফিফ ছাড়া বাকিদের কেউই সেভাবে কাজে লাগাতে পারেননি সুযোগটা। মাহমুদউল্লাহ বললেন, ‘আমার মনে হয় এটি তরুণদের জন্য ভালো একটি সুযোগ, বিশেষ করে নাইম শেখ, আফিফ… দুজন অভিষিক্ত ছিল আজকে তাদের জন্য। এটি তাদের জন্য সুযোগ বিশ্বকে দেখানোর, তারা কতটা ভালো।’
মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আমরা হয়তো সবসময় সব অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে একসঙ্গে পাব না। এর সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। কাউকে এগিয়ে আসতে হবে এবং দেখাতে হবে যে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য তার আছে।’
বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার চলমান সিরিজটি বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য সরাসরি সম্প্রচার করছে জিটিভি এবং দেশের বহুল পরিচিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম র্যাবিটহোল। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের সবগুলো ম্যাচ র্যাবিটহোলের ওয়েবসাইটের সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাচ্ছে ইউটিউবেও। র্যাবিটহোলের ওয়েবসাইট www.rabbitholebd.com এবং ইউটিউব চ্যানেলেও প্রত্যেকটি ম্যাচ দেখা যাচ্ছে বিনামূল্যেই।