Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শিরোপা আক্ষেপ ঘুচল না বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক
২৯ মার্চ ২০২১ ২১:০৮

ত্রিদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালের প্রথমার্ধেই দুই গোল হজম করল বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও হয়নি ম্যাচে ফেরা। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন গুড়িয়ে ২-১ গোলের ব্যবধানে ম্যাচ এবং টুর্নামেন্ট জয় স্বাগতিক নেপালের।

কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে সোমবার ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের কাছে প্রথমার্ধে দুর্বল রক্ষণভাগের জন্য ২-০ গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে একটি গোল শোধ করলেও তা কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পারে।

বিজ্ঞাপন

অপেক্ষা ছিল দীর্ঘ ১৮ বছরের। ২০০৩ সালে সবশেষ সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ী বাংলাদেশ আর জিততে পারেনি কোনো টুর্নামেন্টের মুকুট। তাই তো এবার আশা ছিল দীর্ঘ এক যুগের শিরোপা আক্ষেপ ঘুচানোর। তবে না শেষ পর্যন্ত তা হলো, বাড়ল আক্ষেপ।

নেপালের এই প্রতিযোগিতায় এটিই বাংলাদেশের প্রথম হার। কিরগিজস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে আত্মঘাতী গোলে ১-০ ব্যবধানে জিতে শুভসূচনা করা ডের দল দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছিল।

তবে ফাইনালে এ এক অন্য নেপাল। ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশের ওপর চড়াও স্বাগতিক দল। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে বক্সে নেপালের সংযোগ রায় বল পাওয়ার আগেই দ্রুত বিপদমুক্ত করেন মাঝমাঠ ছেড়ে নিচে নেমে আসা জামাল ভূঁইয়া। বাংলাদেশের রক্ষণে চাপ বাড়ানো নেপালের দ্বাদশ মিনিটের আক্রমণ ব্যর্থ করে দেন সাদ উদ্দিন। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস দূরের পোস্টে থাকা ত্রিদেব গুরংয়ের কাছে পৌঁছানোর আগেই দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় বিপদমুক্ত করেন সাদ।

এর মিনিট পাঁচেক পর দুর্দান্ত দক্ষতায় বাংলাদেশকে গোল হজমের হাত থেকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। তবে জিকোর ফেরানো বল থেকে কর্নার পায় নেপাল আর ওই কর্নার থেকেই লিড নে স্বাগতিকরা। রাকিব হোসেন হেডে কর্নার ফেরালেও বল যায় বক্সে ফাঁকায় থাকা মিডফিল্ডার সংযোগের পায়ে। তার জোরালো শট মানিক মোল্লার পায়ের ফাঁক দিয়ে জাল খুঁজে নেয়।

বিজ্ঞাপন

ম্যাচের ৪১তম মিনিটে রনজিত ধিমালের পাস পেয়ে বল জালে জড়ান বিশাল রায়। আর বিরতির আগেই ২-০ ব্যবধানে লিগ নেয় স্বাগতিক নেপাল।

বিরতি থেকে ফিরে বাংলাদেশ দলে তিন পরিবর্তন আনেন জেমি ডে। সুমন রেজা, রিমন হোসেন ও মেহেদী হাসান রয়েলকে তুলে টুটুল হোসেন বাদশা, ইয়াসিন আরাফাত ও মাহবুবুর রহমান সুফিলকে নামান। রিমন ও রয়েল মাঠ ছাড়েন চোট নিয়ে।

তিন পরিবর্তনে দলের আক্রমণে বেশ ধার আসে। ম্যাচের ৬৬তম মিনিটে ইয়াসিনের দূরপাল্লার শট দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ৮২তম মিনিটে মানিক হোসেন মোল্লাকে তুলে মাশুক মিয়া জনিকে নামান কোচ। এরপরই জামালের কর্নারে লাফিয়ে সুফিল হেডে লক্ষ্যভেদ করলে বাংলাদেশ পায় ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ। প্রতিযোগিতায় এই প্রথম বাংলাদেশের কেউ পেল গোলের দেখা!

এরপর নেপালের রক্ষণে একের পর এক আঘাত হানতে থাকে বাংলাদেশ। তবে তাদের রক্ষণকে কিছুতেই ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশের আক্রমণ ভাগ। এর মধ্যেই ম্যাচের ৮৭তম মিনিটে জামালের ফ্রি কিকে বসুন্ধরা কিংসের বদলি ফরোয়ার্ড সুফিলের হেড অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে মেজাজ হারিয়ে রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে হলুদ কার্ড দেখেন অধিনায়ক জামাল।

আর তাতেই শেষ পর্যন্ত ওই ২-১ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। সেই সঙ্গে হাতছাড়া হয় ১৮ বছর ধরে অধরা হয়ে থাকা শিরোপাটিও।

সারাবাংলা/এসএস

নেপাল বনাম বাংলাদেশ ফাইনাল হারল বাংলাদেশ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর