১৫১ রান করেও রাজশাহীর ইনিংস ব্যবধানে জয়
৩০ মার্চ ২০২১ ১৪:১৮
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠের উইকেট স্পিনারদের ‘দুহাত ভরে শুধু দিয়েই যাচ্ছে। জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডের খেলায় এই মাঠে রাজত্ব করেছিলেন রংপুর বিভাগ, ঢাকা বিভাগের স্পিনাররা। দ্বিতীয় রাউন্ডে ঘূর্ণি বিষে আরও অসহায় ব্যাটসম্যানরা। ঢাকা, রংপুরের ব্যাটসম্যানরা তাও কিছু রান করতে পেরেছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডে এই মাঠে স্পিনারদের বিপক্ষে স্রেফ উঠে গেলেন বরিশাল বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগের ব্যাটসম্যানরা। স্পিন রাজত্বের মধ্যে দেড় দিনেই ইনিংস ও ৯ রানে ম্যাচ জিতেছে রাজশাহী বিভাগ।
প্রথম দিনেই পতন হয়েছিল মোট ২১ উইকেট। বরিশালকে প্রথম ইনিংসে ৮২ রানে গুটিয়ে দিয়ে রাজশাহী গুটিয়ে গিয়েছিল ১৫১ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ২৩ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিল বরিশাল। ইনিংস পরাজয় এড়াতে দলটির দরকার ছিল আর মাত্র ৪৬ রান। হাতে ছিল ৯টি উইকেট। তবুও সে পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি বরিশাল।
রাজশাহীর দুই স্পিনার সানজামুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম দাঁড়াতেই দেননি বরিশালের ব্যাটসম্যানদের। আগের দিন ১১ রানে অপরাজিত থাকা মঈনুল ইসলাম ও ৮ রানে অপরাজিত থাকা কামরুল ইসলামই কেবল দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে পেরেছেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রান করে মঈনুল ইসলাম যখন ফিরলেন বরিশালের রান তখন ৫৩। সেখান থেকে ৬০ রানেই অলআউট দলটি! অর্থাৎ ৭ রানে শেষ সাত উইকেট হারিয়েছে বরিশাল!
জাতীয় লিগে বরিশালের সর্বনিম্ন রানের স্কোর এটা। আগের সর্বনিম্ন ছিল ৮৭ রান। ২০০৭ সালে এই রাজশাহীর বিপক্ষেই ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল বরিশাল। প্রথম ইনিংসে ৮২ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬০ রানে গুটিয়ে গিয়ে এক ম্যাচেই দুবার সেই রেকর্ড নতুন করে লিখে নিল বরিশাল।
রাজশাহীর পক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়া সানজামুল ইসলাম দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৫ রান খরচায় নিয়েছেন ৬ উইকেট। প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নেওয়া তাইজুল ইসলাম দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩ রানে নিয়েছেন চার উইকেট।