পর্দা উঠল বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের
১ এপ্রিল ২০২১ ২২:৫৮
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে গণভবন থেকে গেমসের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গেমস চলবে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রী মঞ্চের নির্দিষ্ট আসনে বসলে জাতীয় সঙ্গীত বেজে ওঠে। এরপর ক্রীড়াবিদদের পক্ষে শপথবাক্য পাঠ করেন আরচার রোমান সানা। বিচারকদের পক্ষে শপথবাক্য পাঠ করান সাবেক জুডো তারকা কামরুন্নাহার হিরু।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিওএর মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। এরপর বক্তব্য দিয়েছেন বিওএ সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের বক্তব্যে বলেন, ‘আমি খেলাধুলা সবসময়ই পছন্দ করি এবং সবসময় নিজে মাঠে উপস্থিত থাকতে চেষ্টা করেছি অতীতে। এবার পারলাম না, এটা আমার জন্য সবচেয়ে দুঃখজনক। তারপরও আমি বলবো, সবার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই আসিনি। আশা করি, এখন থেকে ৩১ ডিসিপ্লিনে যে খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে, আপনারা স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলবেন।’
তিনি বলেন, ‘যে কোনো দেশে প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষকে উন্নতি করতে হলে সবদিকে উন্নতি করা দরকার। খেলাধুলা এটা একান্তভাবে অপরিহার্য। প্রতিটি শিশু থেকে শুরু করে যুবক, তরুণ তাদের জন্য একান্তভাবে অপরিহার্য। খেলাধুলার ক্ষেত্রে জাতির পিতার সবসময় আন্তরিকতা ছিল। তিনি সবসময় খেলাধুলায় উৎসাহ দিতেন, তিনি নিজে খেলতেন। আমার দাদাও খেলতেন, আমার ভাইয়েরাও খেলতেন। দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর সব ধরনের খেলার প্রতি আমরা নজর দিয়েছি। এর একটা লক্ষ্য আমাদের ছেলে-মেয়েরা সুখী সমৃদ্ধ থাকুক। দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম অর্থাৎ খেলার মাঠ করে দিচ্ছি।’
করোনার কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনেক কাটছাঁট করতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মাঠ থেকে উদ্বোধন ঘোষণা করার বিষয়টি বাতিল করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে গেমসের মশালযাত্রা শুরু হয়েছিল গতকাল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (ওিএ) সভাপতি জেনারেল আজিজ আহমেদের হাত ধরে মশালযাত্রা শুরু হয়। পরে টুঙ্গিপাড়া থেকে বর্ণাঢ্য মোটরর্যালির মাধ্যমে মশাল ঢাকায় আনা হয়। আজকের উদ্বোধনীতে মূল মশাল প্রজ্জ্বলন করেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান ও সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা।
উল্লেখ্য, এবারের গেমসে ৭ জেলার ২৯টি ভেন্যুতে ৩১ ডিসিপ্লিনে ৫ হাজার ৩০০ ক্রীড়াবিদ লড়বেন ১ হাজার ২৭১টি পদকের জন্য। ডিসিপ্লিনগুলো হলো অ্যাথলেটিকস, আর্চারি, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, বক্সিং, সাইক্লিং, ফেন্সিং, ফুটবল, গলফ, জিমন্যাস্টিকস, হ্যান্ডবল, হকি, জুডো, রোয়িং, শুটিং, সাঁতার, টেবিল টেনিস, তায়কোয়ান্দো, টেনিস, ভলিবল, ভারোত্তোলন, কুস্তি, দাবা, ক্রিকেট, কাবাডি, কারাতে, উশু, খোখো, শরীর গঠন, রাগবি ও রোলার স্কেটিং।