আইপিএল জোয়ারে সিরিজ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা
৭ এপ্রিল ২০২১ ২৩:০৪
আগের ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি মিস করা ফখর জামান সেঞ্চুরি করেছেন আজ তৃতীয় ওয়ানডেতেও। বাবর আজম অল্পের জন্য সেঞ্চুরি পাননি না। দুই মিলিয়ে ৩২০ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল পাকিস্তান। পরে এতোবড় সংগ্রহ পেরুতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৮ রানে ম্যাচ হেরে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে আফ্রিকানরা। ২০১৩ সালের পর দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজ জিতল পাকিস্তান। প্রোটিয়াদের এই হারে কেউ কেউ হয়তো আইপিএলকেও দুষবেন!
চাকচিক্যের আইপিএলের সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পক্ষে, বিপক্ষের মত নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে কিছুদিন ধরে। শ্রীলঙ্কা সফরকে উপেক্ষা করে সাকিব আল হাসান আইপিএল খেলতে গেলেন বলে বাংলাদেশেও কম আলোচনা হলো না। দক্ষিণ আফ্রিকার ঘটনা আরও আলোচিত।
দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তানের তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ শেষে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ছিল দুই দল। অর্থাৎ তৃতীয় ম্যাচ যারা জিতবে সিরিজ তাদের। এমন অবস্থায় দেশের খেলা ছেড়ে আইপিএল খেলতে উড়াল দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার নিয়মিত কয়েকজন ক্রিকেটার, কারণ তৃতীয় ম্যাচ খেলার পর রওনা দিলে কোয়ারেন্টাইন মেনে প্রথম থেকে আইপিএল খেলা সম্ভব নয়। ডেভিড মিলার,কাগিসো রাবাদা, আনরিক নরকিয়া, লুঙ্গি এনগিডি, কুইন্টন ডি ককদের মতো তারকা খেলোয়াড়রা তৃতীয় ওয়ানডে না খেলে আইপিএলের বিমান ধরেছেন। এদিকে, দলের প্রথম শ্রেণীর কয়েকজন ক্রিকেটারের অনুপস্থিতিতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ খেলতে নেমে ২৮ রানে হারল দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেঞ্চুরিয়ানে পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। দুই ওপেনার ইমাম-উল হক ও ফখর জামান প্রথম উইকেটে তোলেন ১১২ রান। ইমাম ৭৩ বলে ৩ চারে ৫৭ রান করে ফিরলে তিনে নেমে ফখরের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক বাবর। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক ডি ককের ‘বিতর্কিত’ এক রান আউটের কারণে ডাবল সেঞ্চুরি মিস করা ফখর আজ সেঞ্চুরি করেছেন। দলীয় ২০৬ রানের মাথায় আউট হয়েছেন ১০৪ বলে ১০১ রান করে। তার ইনিংসে চারের মার ৯টি, ছক্কা ৩টি।
তার পরের ব্যাটসম্যানরা সেভাবে সুবিধা করতে না পারলেও শেষ দিকে একটা ছোট ঝড় তোলেন পেসার হাসান আলি। আর বাবর আজম অবিচলই ছিলেন। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৮২ বল খেলে করেছেন ৯৪ রান। চার মেরেছেন ৭টি, ছক্কা ৩টি। হাসান ১১ বলে করেন ৩২ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কেশভ মহারাজ নিয়েছেন তিন উইকেট।
বড় সংগ্রহের জবাব দিতে নেমে পাকিস্তানি বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে শুরু থেকেই বলের তালে রান তুলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে রান তাড়ার কাজটা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ৪৯.৩ ওভারে ২৯২ রানে গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকরা। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেছেন ওপেনার মালান। ৬২ রান করেছেন কাইল ভারেরিনে। আন্দিলে ফেলুকাওয়ে করেছেন ৫৪ রান।
পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ নাওয়াজ ৩৪ রানে ও শাহিন শাহ আফ্রিদি ৫৮ রানে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। দুই উইকেট নিয়েছেন হারিস রউফ।
কুইন্টন ডি কক দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তান সিরিজ ফখর জামান বাবর আজম