আইপিএল স্থগিতে বিসিসিআইর ক্ষতি ২৫০০ কোটি টাকা
৫ মে ২০২১ ১৪:৩৩
গেল মঙ্গলবার (৪ মে) ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতি মৌসুমের আইপিএল স্থগিতের ঘোষণা দেয়। আইপিএলের জৈব সুরক্ষা বলয় ভেদ করে করোনাভাইরাসের হানার কারণেই মাঝপথে এসে টুর্নামেন্ট স্থগিতের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। চলতি মৌসুমের আইপিএল থেকে যেখানে ৪৪০০ কোটি টাকারও বেশি লাভ হওয়ার কথা ছিল সেখানে টুর্নামেন্ট মাঝপথেই স্থগিত হয়ে যাওয়ায় সেই আয় নেমে আসতে পারে অর্ধেকে। আর তাতেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড-বিসিসিআইর প্রায় ২৫০০ কোটি টাকার লোকসানের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা বরাত দিয়ে বোর্ডের লোকসানের কথা জানিয়েছে।
‘চলতি মৌসুমের মাঝপথে আইপিএল স্থগিত হওয়ায় আড়াই হাজার কোটি টাকার লোকসান হতে পারে আমাদের। সংখ্যার হিসেবে নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে তা দাঁড়ায় ২৫০০ কোটি টাকা। তবে লোকসানের পরিমাণ আরও বেশি হওয়ার সম্ভবনা আছে।’
চলতি মৌসুমে ৫২ দিনে ৬০টি ম্যাচ মাঠে গড়ানোর কথা ছিল আইপিএলের তবে ২৪ দিনে ২৯টি ম্যাচ শেষে টুর্নামেন্ট স্থগিত করতে বাধ্য হয় আইপিএল গভর্নিং বডি। এ থেকে সম্প্রচার স্বত্বে সবচেয়ে বেশি লোকসান হবে বলে জানা গেছে। স্টার ইন্ডিয়ার সঙ্গে ৫ বছরে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কোটি রুপির চুক্তি ভারতীয় বোর্ডের। প্রতি মৌসুমের জন্য যা দাঁড়ায় ৩ হাজার ২৭০ কোটি রুপির মতো। ৬০ ম্যাচের মৌসুমে প্রতিটি ম্যাচের জন্য স্টার ইন্ডিয়া দিচ্ছে প্রায় সাড়ে ৫৪ কোটি রুপি।
অর্থাৎ এবারের আইপিএলে ইতোমধ্যেই ১ হাজার ৫৮০ কোটি রুপির মতো দেশটির বোর্ডকে প্রদান করেছে স্টার ইন্ডিয়া। তবে আইপিএল’র বাকি ম্যাচগুলো মাঠে না গড়ালে বোর্ডটির হাতছাড়া হবে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি রুপি। এছাড়াও আইপিএল’র টাইটেল স্পন্সর ভিভোর সঙ্গে চুক্তি ৪৪০ কোটি রুপির। এটিও নিশ্চিতভাবে নেমে আসবে অর্ধেকে। সহযোগী অন্যান্য স্পন্সরদের কাছ থেকে প্রাপ্য ১২০ কোটি রুপিও কমে হবে অর্ধেকের মতো।
তবে এখনই আইপিএল’র শেষ দেখছে না বিসিসিআই। বোর্ডের শীর্ষ এক কর্মকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘অক্টোবর-নভেম্বরে বিশ্বকাপের পর আইপিএল’র বাকি ম্যাচগুলো করা যায় কিনা, ভেবে দেখছি আমরা। সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে, আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও আইপিএলের বাকি ম্যাচ, সব ভারতেই আয়োজন করতে চাই। সেটা না হলে বিকল্প তো সংযুক্ত আরব আমিরাত আছেই।’
তবে আদৌ আইপিএল’র ভাগ্য এখানেই শেষ নাকি কোনো একটা সময় খুঁজে আবারও মাঠে ফেরানো হবে চলতি আসর তা নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্তে আসেনি বিসিসিআই। তবে গুঞ্জন উঠেছে স্থগিত হয়ে যাওয়া আসর মাঠে গড়াতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
সারাবাংলা/এসএস