মেসিকে সিটিতে ডাকবেন না গার্দিওলা!
৭ মে ২০২১ ১৭:৩২
গত মৌসুমে বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন লিওনেল মেসি। ক্লাবকে অনুষ্ঠানিকভাবে সেটি জানিয়েও দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। কিন্তু বার্সা চুক্তির বিভিন্ন ফাঁক খুঁজে মেসিকে আটকে রাখে। আলোচনাটা কিন্তু সেখানেই থেমে থাকেনি। বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ৩০ জুন। নতুন চুক্তি এখনো হয়নি। ফলে ছয়বারের বর্ষসেরা তারকার ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জনটা বারবারই উঠছে। আর এই আলোচনায় ইদানিং মেসির ভবিষ্যত গন্তব্য হিসেবে সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি ও পিএসজির নাম।
ইংলিশ গণমাধ্যমগুলো বলছিল, গত মৌসুমে বার্সেলোনা ছেড়ে ম্যানসিটিতেই যেতে চেয়েছিলেন মেসি। বার্সেলোনায় যার কোচিংয়ে মহা তারকা হয়েছেন সেই পেপ গার্দিওলা অনেকদিন ধরে সিটির কোচ। সিটিতে যাওয়ার ব্যাপারে সাবেক গুরুর সঙ্গে নাকি পাকা কথাও হয়ে গিয়েছিল মেসির। বার্সার বাঁধায় সেই যাত্রায় না হলেও চুক্তি শেষে মেসির গার্দিওলার সিটিতে চলে যাওয়া দেখছেন অনেকে। কিন্তু পেপ গার্দিওলার বাবা ভালেন্তি গার্দিওলা বলছেন অন্য কথা। মার্কাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভালেন্তি বলেছেন, বার্সাকে কষ্ট দিয়ে মেসিকে সিটিতে টেনে আনতে চান না তার ছেলে!
কোচ হিসেবে গার্দিওলার তারকা হয়ে ওঠা বার্সেলোনাতেই। ক্লাবের সাবেক ফুটবলার গার্দিওলা যুব দলে মাত্র এক বছর কোচিং করার অভিজ্ঞতা নিয়ে যখন মূল দলের কোচ হয়েছিলেন অনেকেই নাক সিটকেছিল। কিন্তু জাভি হার্নান্দেজ, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, লিওনেল মেসিদের নিয়ে বার্সাকে বিশ্বজয়ী বানিয়েছিলেন গার্দিওলা। পরে নিজের ইচ্ছায় বার্সা ছেড়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু বার্সার প্রতি ভালোবাসা যে একটুকুও কমেনি সেটা বহুবার বলেছেন গার্দিওলা।
ভালেন্তি বলছেন, সেই ভালোবাসার খাতিরেই মেসিকে নিয়ে এসে বার্সেলোনাকে কষ্ট দিতে চান না তার ছেলে! বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, মেসিকে সিটিতে পেলে পেপের অখুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই। পেপ সবসময়ই মেসিকে সেরা হিসেবে দেখেছে। কিন্তু সে রয়েছে বার্সেলোনায়। এই খেলোয়াড়টিকে নিয়ে গিয়ে ক্লাবটিকে কখনোই আঘাত করতে চায় না পেপ।’
ভালেন্তি বলেছেন, ‘এমন কোনো ক্লাব বিশ্বে নেই, যারা মেসিকে চাইবে না। আমি তাকে ১২/১৩ বছর বয়সে খেলতে দেখেছিলাম এবং আমি অভিভূত হয়েছিলাম। ওই পর্যায়েও সে অসাধারণ ছিল। মেসির মতো খুব কম খেলোয়াড়ই আছে।’
নিজেও যে বার্সা সমর্থক সেটা জানাতেও ভুল করলেন না ভালেন্তি। বলেছেন, সব সময় বার্সার জয় চান তিনি। তবে সবচেয়ে বেশি খুশি হন যখন ছেলে জিতে যায়, ‘আমি আজীবন বার্সেলোনার পক্ষে থেকেছি এবং তাদের জয় কামনা করেছি। কিন্তু সবার আগে আমি পেপকে জয়ী দেখতে চাই। আগে আমার ছেলে। তারপর বার্সেলোনা যখন জেতে, আমি উপভোগ করি।