টেস্টে অভাবনীয় রেকর্ড গড়ে ক্যারিয়ারের উত্থান মেহেদি হাসান মিরাজের। সাদা পোশাকের এই বোলার ওয়ানডে সংস্করণেও আলো ছড়াবেন এমন ধারণা কারোরই ছিল না। তবে, বিস্ময়করভাবে সেই মিরাজই ৫০ ওভারের ক্রিকেটে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে স্থান করে নিয়েছেন। বিষয়টি নিজেও বিশ্বাস করতে পারছেন না লাল-সবুজের এই অফস্পিনিং অলরাউন্ডার।
লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৩০ রানের বিনিময়ে চার উইকেট নেন মিরাজ। ঘূর্ণিজাদু দেখিয়েছেন দ্বিতীয় ম্যাচেও। এবার চার উইকেট না হলেও ২৮ রানের খরচায় থলিতে পোরেন তিন উইকেট। আর তাতেই র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ উপরে উঠে জায়গা করে নিয়েছেন দুই নম্বরে। পেয়েছেন ক্যারিয়ার সেরা রেটিং পয়েন্ট — ৭২৫। শীর্ষে থাকা ট্রেন্ট বোল্ট তার চেয়ে মাত্র ১২ পয়েন্টে এগিয়ে। মজার ব্যাপার হলো, আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে এতোটা উল্লফন কল্পনাও করতে পারেননি মিরাজ।
বুধবার (২৬ মে) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পাঠানো ভিডিওবার্তায় তিনি এ কথা জানান।
মিরাজ বলেন, ‘র্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বরে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। কখনো ভাবিনি ওয়ানডে ক্রিকেটের র্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বরে আসব। টেস্ট খেলা শুরুর পর, টেস্ট বোলারই ছিলাম। তবে, নিজের মধ্যে সবসময় একটা জিনিস কাজ করত যে, শুধু টেস্ট খেলব না, সব ফরম্যাটই খেলব এবং যেনো সফলতার সঙ্গে খেলব।
যখন ওয়ানডে ক্রিকেট স্টার্ট করলাম, চিন্তাই ছিল কীভাবে টিমে অবদান রাখতে পারি এবং পারফর্ম করতে পারি। ফোকাস ছিল, ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে হলে ইকোনমি রেটটা ঠিক রাখতে হবে — বলেন মিরাজ।
এদিকে, র্যাঙ্কিংয়ে এমন উন্নতির খবর শুনে সতীর্থরা তাকে অভিবাদনে সিক্ত করেছেন বলেও জানালেন এই অলরাউন্ডার।
মিরাজ বলেন, ‘সবাই অনেক সাপোর্ট করছে, টিমমেটরা সবাই আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। টিমমেটরা সবাই আমাকে সাপোর্ট করছে। এটা আসলে আমার জন্য অনেক বড় একটা পাওয়া, যখন আমার টিমমেটরা আমাকে সাপোর্ট করে এবং সবাই যখন আমার সাথে কথা বলে, পেছন থেকে ব্যাকআপ করে। আমার কাছে এটা অনেক ভালো লাগে। কারণ একটা জিনিস দেখেন, খারাপ সময় কিন্তু সবারই যায়। কিন্তু ভালো-খারাপ সবসময়ই যখন টিমমেটরা সাপোর্ট করে, এটা কিন্তু একটা প্লেয়ারের জন্য অনেক বড় পাওয়া।’
প্রসঙ্গত, মিরাজের আগে দেশের হয়ে ওয়ানডে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে সেরা দুইয়ে উঠতে পেরেছিলেন মাত্র দুই জন। ২০০৯ সালে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শীর্ষে উঠেছিলেন সাকিব আল হাসান। আর ২০১০ সালে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে দুইয়ে উঠেছিলেন আব্দুর রাজ্জাক।