শ্রীলংকার চ্যালেঞ্জিং স্কোর
২৮ মে ২০২১ ১৭:০২
প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা শ্রীলংকার শুরুটা হলো দারুণ। অধিনায়ক কুশল পেরেরা সেই দারুণ শুরুটাকে টেনে নিয়ে গেলেন অনেকদূর। শেষ দিকে কার্যকরী একটা ইনিংস খেলেছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। সব মিলে বেশ চ্যালেঞ্জিং একটা সংগ্রই পেয়েছে শ্রীলংকা।
শুক্রবার (২৮ মে) বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ২৮৬ রানের সংগ্রহ গড়েছে সফরকারীরা। আগের দুই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করেছিল বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষের বাজে ব্যাটিংয়ে ম্যাচও জিতেছিল স্বাগতিকরা। আজ টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে শ্রীলংকা। তাতেই যেন ভাগ্য বদলের শুরু লংকানদের।
আগের দুই ম্যাচে সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজের স্পিন আর মোস্তাফিজুর রহমানের স্লোয়ারে বেশি ভুগেছেন শ্রীলংকানরা। আজ এই তিনজনকে উইকেট দিবেন না এমন পণ করেই বুঝি মাঠে নেমেছিলেন সফরকারীরা! শ্রীলংকার দুই ওপেনার শুরুটা করেন দারুণ।
প্রথম উইকেটে ৮২ রান তোলেন দুই ওপেনার কুশল পেরেরা ও ধানুশকা গুনাথিলাকা। ১২তম ওভারে লংকানদের লাগাম টেনে ধরেন তাসকিন আহমেদ। ওই ওভারের দ্বিতীয় ও শেষ বলে গুনাথিলাকা (৩৯) ও পাথুম নিশাঙ্কাকে (০) ফেরান তাসকিন। এই তাসকিনই আজ বাংলাদেশের সফল বোলার।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে সুবিধা করতে পারেননি। দ্বিতীয় ম্যাচে সাইফউদ্দিন মাথায় বাউন্সারের আঘাত পেলে সুযোগ মিলেছিল, ভালো বল করলেও উইকেট পাননি। আজ আক্ষেপগুলো সুদে আসলে মিটিয়েছেন তারকা পেসার। একপ্রান্ত থেকে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট তুলে নিয়েছেন তাসকিন।
তবে অন্যপ্রান্ত থেকে শ্রীলংকাকে দারুণভাবে টেনেছেন কুশল পেরেরা। এতে অবশ্য বাংলাদেশি ফিল্ডারদের ‘অবদান’ও আছে। তিনবার সেঞ্চুরি পাওয়া পেরেরার ক্যাচ ছেড়েছেন বাংলাদেশি ফিল্ডাররা। দুবার সাকিবের বলে, একবার মোস্তাফিজের বলে। শ্রীলংকান অধিনায়ক শেষ পর্যন্ত থেমেছেন ১২০ রানে।
১২২ বল খেলে ১১টি চার ১টি ছয়ে ১২০ রানে আউট হয়েছেন শরিফুল ইসলামের বলে। মিডল অর্ডারে ধনঞ্জয়া ৭৭ বল খেলে ৪টি চারের সাহায্যে ৫৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন। শ্রীলংকা ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে তোলে ২৮৬ রান।
বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন ৯ ওভার বোলিং করে ৪৬ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। শরিফুল ৮ ওভারে ৫৬ রান খরচায় নিয়েছেন ১ উইকেট। সাকিব, মিরাজ, মোস্তাফিজ ১০ ওভারে যথাক্রমে ৪৮, ৪৮, ৪৭ রান খরচ করলেও উইকেট পাননি।
সাকিব রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে আজ বোলিং করতে নেমেছিলেন। আর মাত্র একটা উইকেট পেলেই মাশরাফি বিন মর্তুজাকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওয়ানডে উইকেটের মালিক বনে যেতেন। পাশাপাশি পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরামকে পেছনে ফেলে ওয়ানডেতে এক ভেন্যুতে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়তে পারতেন। সাকিবের রেকর্ডের জন্য বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে এখন।