সৌম্য-মাহমুদউল্লাহতে গাজী গ্রুপের দ্বিতীয় জয়
৭ জুন ২০২১ ১৯:১৯
দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও কার্যকরী একটা ইনিংস খেললেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ফিফটি পেয়েছেন তরুণ টপ অর্ডার ব্যাটার সৌম্য সরকার। দুই মিলিয়ে জয়ে ফিরল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ২৩তম ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে আজ ৭ উইকেটে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ।
চার ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর দলের এটা দ্বিতীয় জয়। পয়েন্ট টেবিলে গাজী গ্রুপের অবস্থান আট নম্বরে। অপর দিকে চার ম্যাচের সবকটিতে হারা রূপগঞ্জ আছে টেবিলের ১১ নম্বরে।
সোমবার (৭ জুন) বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে রূপগঞ্জকে ১৩২ রানেই বেঁধে রাখে গাজী গ্রুপ। শেখ মেহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ ও মাহমুদউল্লাহ- এই তিন স্পিনার শুরু থেকেই নাভিশ্বাস তুলে ছেড়েছে রূপগঞ্জের। রান আটকানোর পাশাপাশি নিয়মিত উইকেটও তুলে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহরা। যাতে বড় স্কোর গড়া সম্ভব হয়নি রূপগঞ্জের।
১৩২ রানের সংগ্রহে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেছেন মেহেদি মারুফ। ২১ রান করেছেন সোহাগ গাজী। গাজী গ্রুপের হয়ে মাহমুদউল্লাহ ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন দুটি উইকেট। মেহেদি হাসান ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন যথাক্রমে ২৩ ও ৩৮ রান খরচায়। নাসুম আহমেদ একটা উইকেট পেলেও চার ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ৯টি।
পরে জবাব দিতে নেমে ওপেনিংয়ে নামা মেহেদি হাসানকে ২১ রানে হারায় গাজী গ্রুপ। তবে এরপর সৌম্য সরকার ও মুমিনুল হক দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন শক্ত একটা জুটি। ৮২ রানের ওই জুটিতেই জয়ের গল্প লেখা হয়েছে গাজী গ্রুপের। শেষ দিকে আনুষ্ঠানিকতা সেড়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
মুমিনুল ২৯ বলে ৩৪ রান করেছেন। অনেকদিন অফ ফর্মে থাকা সৌম্য ৪৩ বল খেলে ৪টি চার ২টি ছয়ে ৫৩ রান করেছেন। মাহমুদউল্লাহ শেষ দিকে ১২ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ১৯.৫ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৩৩ রান তোলে গাজী গ্রুপ।
এদিকে, দিনে লিগের অপর ম্যাচে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৭২ রানের বিশায় জয় পেয়েছে তামিম ইকবালের প্রাইম ব্যাংক লিমিডেট।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে প্রথমে ব্যাটিং করে ১৬৭ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে প্রাইম ব্যাংক। ৩৬ বলে ৩টি চরে চার ছয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন মোহাম্মদ মিঠুন। ৩৩ বলে ৪টি চার ২টি ছয়ে ৪৭ রান করেন তামিম ইকবাল। পরে জবাব দিতে নেমে রুবেল হোসেনের তোপে ৯৫ রানেই গুটিয়ে যায় পারটেক্স। আবু মুসা ২৯ ও রকিবুল হাসান ২৩ রান করেছেন।
অনেকদিন পর বোলিংয়ে ফেরা রুবেল চার ওভারে ৩০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। নাহিদুল ইসলাম ও নাঈম হাসান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।