মাহমুদুল ঝড় থামিয়ে জয়ের বন্দরে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স
১০ জুন ২০২১ ১৪:১৭
মিরপুর শের-ই-বাংলায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ব্যাট হাতে তুমুল ঝড় তুলেছিলেন ওল্ড ডিওএইচএসের টপ অর্ডার ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়। ৫৫ বলে তিন চার ও সাতটি ছয়ের মারে অপরাজিত ছিলেন ৮৫ রানে। তাতে জয়ের সম্ভাবনা উঁকি দিয়েছিল ডিওএইচএস শিবিরে। কিন্তু সৌম্য সরকার, ইয়াসির রাব্বি ও মেহেদি হাসানের দৃঢ় ব্যাটে মাহমুদুলের সেই ঝড় মিইয়ে গেল। ম্যাচ শেষে দিক বদলে জয় গিয়ে নোঙর ফেলল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বন্দরে।
প্রিমিয়ার লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের খেলায় ওল্ড ডিওএইচএসকে হারাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের প্রয়োজন ছিল ১৩৭ রান। যা এক ওভার বাকি থাকতেই করে ফেলল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তার দল। ওপেনার শেখ মেহেদি হাসান ১০ বল থেকে সংগ্রহ করেছেন ২২ রান, সৌম্য সরকার ৩৫ বলে ৩৭ রান ও ইয়াসির আলী রাব্বি অপরাজিত থেকেছেন ২৪ রানে (১৯)।
বৃহস্পতিবার টস জিতে ডিওএইচএসকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নামাটা মোটেও তাদের জন্য সুখকর কিছু বয়ে আনেনি। কেননা একমাত্র মাহমুদুল হাসান জয় ছাড়া আর কোন ব্যাটারই নামের পাশে ব্যক্তিগত ২০ রানও যোগ করতে পারেননি। তবে একাই লড়েছেন জয়্। তার ৮৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৩৬ রান সংগ্রহ করে ডিওএইচএস।
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে নাসুম আহমেদ ২টি, মহিউদ্দিন তারেক ও মুকিদুল ইসলাম নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
জয়ের জন্য ১৩৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সৌম্য সরকার, শেখ মেহেদি হাসান ও ইয়াসির আলী রাব্বির দৃঢ় ব্যাটে চার উইকেটের খরচায় লক্ষ্যে পৌঁছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। তাতে ৬ উইএকটের জয়ে মাঠ ছাড়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অ্যান্ড কোং। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের চলতি মৌসুমে এটি তাদের তৃতীয় জয়।
ডিওএইচএস’র হয়ে রবিকুল হাসান ২টি, আলিস আল ইসলাম ও হামিদুল ইসলাম ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
বিকেএসপি’র তিন নাম্বার মাঠে দুই টেবিল টপারের লড়াইয়ে প্রাইম দোলেশ্বরকে ৩ রানে হারিয়ে শীর্ষে উঠে এল প্রাইম ব্যাংক।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মোহাম্মদ মিঠুনের ৫৫ (৫০), এনামুল হক বিজয়ের ২৯ (১৮) ও অলোক কাপালির ২৬ (১৪) রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৫১ রান তোলে প্রাইম ব্যাংক।
দোলেশ্বরের হয়ে কামরুল ইসলাম রাব্বি ২টি, রেজাউর রহমান রাজা, তাইবুর রহমান, শামিম হোসেন ও এনামুখ হক জুনিয়র ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
কিন্তু জয়ের জন্য ১৫২ রানের লক্ষ্যে নামা দোলেশ্বর ব্যাট হাতে ছিল নিদারুণ নিস্প্রভ। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৮ (১২) রান এসেছে টেল এন্ডার কামরুল ইসলামের ব্যাট থেকে। দলের ওপেনার, টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডারদের কেউই ব্যক্তিগত ২৫ রানের কোঠাও স্পর্শ করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ (২৪) রান করেছেন মার্শাল আইয়ুব।
প্রাইম ব্যাংকের হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ৩টি, রুবেল হোসেন, শরিফুল ইসলাম ২টি করে, নাঈম হাসান ও অলোক কাপালি নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।