ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি ডেনমার্কের। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মাঠে লুটিয়ে পড়ার পর ফিনল্যান্ডের কাছে হেরেছিল তারা। এরপর বেলজিয়ামের কাছে হেরে নকআউটে খেলার স্বপ্নই শেষ হতে বসেছিল তাদের। তবে শেষ ম্যাচে রাশিয়াকে ৪-১ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে এবারের ইউরোর নকআউট পর্ব নিশ্চিত করল ডেনিশরা। ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড এবং রাশিয়ার সমান তিন পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় পরের পর্বে জায়গা করে নিল ডেনমার্ক।
ডেনমার্কের হয়ে এদিন গোল করেন যথাক্রমে ডামসগার্ড, পোলসেন, ক্রিশ্চিয়ানসেন এবং মায়েহেল। আর রাশিয়ার হয়ে একটি গোল পরিশোধ করেন ডিজুবা।
ইউরোর নকআউটে জায়গা করে নিতে রাশিয়ার বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না ডেনমার্কের সামনে। কেবল জিতলেই অবশ্য হত না, সেই সঙ্গে ফিনল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে বেলজিয়ামের কাছে হারতেও হত। আবার নিজেদেরও রাশিয়াকে বড় ব্যবধানেই হারাতে হত। সবই হলো একরাতে। লেখা হলো ডেনিশ রূপকথা।
বেলজিয়ামের কাছে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারল ফিনল্যান্ড আর তাতেই গ্রুপ পর্বে এক জয়ে তিন পয়েন্ট দাঁড়াল তাদের। তবে বেলজিয়ামের কাছে দুই গোল হজম করে তাদের গোল ব্যবধান দাঁড়াল -২। অন্যদিকে রাশিয়ার বিপক্ষে জয়ের সঙ্গে সঙ্গে গোল ব্যবধানটাও মাথায় রাখতে হত ডেনিশদের। ম্যাচে রাশিয়াকে ৪-১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে এবারের ইউরোতে প্রথম জয় পেল তারা। আর সেই সঙ্গে গোল ব্যবধান দাঁড়াল +১। তাতেই ফিনিশদের টপকে গ্রুপের দুইয়ে উঠে এলো ডেনমার্ক। আর ইউরোর নকআউটের টিকিট পেল গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবে।
ম্যাচে নিজেদের প্রথম গোল পেয়ে ডেনমার্ককে অপেক্ষা করতে হয় ৩৮ মিনিট পর্যন্ত। পেইরি এমিল হইবার্গ ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে মিকেল ডাসগার্ডের উদ্দেশে বল বাড়ান। ডি-বক্সের ভেতর বল পেয়ে ডান দিকের কোণা দিয়ে বল জালে জড়িয়ে ডেনিশদের ১-০ গোলের ব্যবধানে লিড এনে দেন ২০ বছর বয়সী ডামসগার্ড।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯তম মিনিটে রাশিয়ান মিডফিল্ডার জুবিনের ভুল ব্যাকপাস থেকে বল পেয়ে যান ইউসুফ পোলসেন। আর ছয় গজের ভেতর থেকে দারুণ শটে ডেনমার্কের লিড দ্বিগুণ করেন পোলসেন। ম্যাচের ৭০তম মিনিটে ভাস্টগার্ডকে পেছন থেকে টেন ধরায় পেনাল্টি পায় রাশিয়া। স্পটকিক থেকে আরতেম ডিজুবা গোল করে ব্যবধান ২-১ করেন।
তবে এরপরে আর ডেনিশদের ম্যাচে চেপে রাখতে পারেনি রাশিয়া। ৭৯তম মিনিটে আন্দেয়াস ক্রিশ্চিয়ানসেনের ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শট রুখে দেওয়ার সাহসও করেননি রাশিয়ান গোলরক্ষক। তাতেই ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ডেনরা।
আর মিনিট দুই পরে হইবার্গের দ্বিতীয় অ্যাসিস্ট থেকে দলের চতুর্থ গোলটি করেন জোয়াকিন মায়েহেল। শেষ দিকে আর কোনো গোল না হওয়ায় ৪-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে নকআউট নিশ্চিত করে ডেনমার্ক।