ইতালিয়ান সৌন্দর্যের সামনে স্পেন
৬ জুলাই ২০২১ ১৫:২৮
এই ইতালি স্পেনের চেয়ে অনেক এগিয়ে- কথাটা হোসে মরিনহোর। ইউরোর প্রথম সেমিফাইনালের আগে কথাটা বলেছেন পর্তুগিজ এই কোচ। ইউরোর প্রথম সেমিফাইনালে রাতে মুখোমুখি হচ্ছে ইতালি ও স্পেন। আজ মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে দুদল।
মরিনহোর কথাটা ধরেই দু’কথা বলা যাক। ইতালিকে নিয়ে অমন মূল্যায়ন শুধু মরিনহোর একার নয়, অনেকেরই। বাছাই পর্ব পেরুতে না পেরে গত বিশ্বকাপ খেলতে পারেনি ইতালি। রবের্তো মানচিনির অধিনে সেই দল ঠিক কতোটা বদলে গেছে আন্দাজ করতে একটা পরিসংখ্যান দেওয়া যাক। সর্বশেষ ১৫ ম্যাচের প্রতিটিই জিতেছে ইতালি, সর্বশেষ ৩২ ম্যাচে অপরাজিত। চলতি ইউরোতে ইতালি একমাত্র টিকে থাকা দল যারা এখনো হারেনি।
কোয়ার্টার ফাইনালে ফিফা র্যাংকিংয়ের এক নম্বর দল বেলজিয়ামকে উড়িয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে ইতালি। চিরাচরিত অতিরক্ষণাত্মক কৌশল থেকে বেরিয়ে ইউরোতে বেশ আক্রমণাত্মক খেলতে যাচ্ছে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। সঙ্গে রক্ষণও থাকছে জমাট। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ফ্রান্সকে বলা হচ্ছিল সবচেয়ে বেশি ফেভারিট, ফরাসিদের বিদায়ের পর অনেকের মতো ইতালিই এখন টুর্নামেন্টের সেরা দল। কোপার প্রথম সেমিতে সেই ইতালি আজ মাঠে নামবে স্পেনের বিপক্ষে।
সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনের সময়টা খুব একটা ভালো কাটছে না। আক্রমণভাগের ব্যর্থতায় অনেকটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই সেমিফাইনাল পর্যন্ত উঠে এসেছেন স্প্যানিশরা। শেষ ষোলো আর কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া এবং সুইজারল্যান্ডকে হারাতে ঘাম ছুটে গিয়েছিল স্পেনের। তবে স্পেন সমর্থকদের জন্য সুখবর, যে আক্রমণভাগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছিল তা ছন্দে ফিরেছে। অ্যালভারো মোরাতা ব্যর্থতা কাটিয়ে কোয়ার্টারে গোলের দেখা পেয়েছেন। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষেও ভালো খেলেছিলেন জুভেন্টাস তারকা। মনে হচ্ছে স্পেনের মাঝমাঠ ও রক্ষণও গুছিয়ে উঠেছে। সব মিলিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাসও পাওয়া যাচ্ছে।
মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য স্পেনই এগিয়ে। এখন পর্যন্ত দুদলের ৩৪ লড়াইয়ে স্পেনের জয় ১২টি, ইতালির ৯টি। বাকি ১৩ ম্যাচ হয়েছে ড্র। সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোর পরিসংখ্যানেও স্পেন এগিয়ে। এ নিয়ে টানা চারবার নকআউট পর্বে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুই দল। ২০০৮ সালে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে লড়েছে দুই দল। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য ড্র হওয়ার পর পেনাল্টি শ্যুটআউটে ৪-২ গোলে জিতে স্পেন। ২০১২ সালের ফাইনালে ইতালিকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল স্পেন। ২০১৬ সালে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে অবশ্য ২-০ গোলে জিতেছিল ইতালি।
আজ ইতালির প্রতিশোধ নেওয়ার আরও একটা সুযোগ। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মানচিনির ইতালি পারে কিনা সেটাই দেখার।