Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

টুর্নামেন্ট সেরা ডনারুমা, গোল্ডেন বুট রোনালদোর

স্পোর্টস ডেস্ক
১২ জুলাই ২০২১ ০৫:১২

১৯৯৬ সালের ইউরো থেকে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার প্রদান করা হয়ে আসছে। আর ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো গোলরক্ষকের হাতে উঠলো টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। টাইব্রেকারে ইতালিকে ইউরোপ সেরার মুকুট এনে দেওয়ার নায়ক জিয়ানলুইগি ডনারুমা। আর টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জিতেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

আরও পড়ুন: ইংলিশদের অপেক্ষা বাড়িয়ে ৫৩ বছর পর ইতালির ইউরোপ জয়

বিজ্ঞাপন

গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন ডনারুমা। ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টাইব্রেকারে রুখে দিয়েছেন দুটি পেনাল্টি শট। টাইব্রেকারে প্রথম শট নিতে এসে বল জালে পাঠান ডমেনিকো বেরার্দি। এরপর ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন জালে বল পাঠিয়ে সমতায় ফেরান ইংলিশদের। এরপর আন্দ্রেয়া বেলোত্তির শট রুখে দিয়ে ইংলিশদের এগিয়ে নেন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। পরের শটে গোল করে ইংলিশদের ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে নেন হ্যারি মাগুয়ের। ইতালির হয়ে তৃতীয় শট নিতে এসে গোল করেন লেওনার্দো বনুচ্চি। পরের শট নিতে এসে বল গোলপোস্টে মারেন মার্কাশ রাশফোর্ড। চতুর্থ শটে ইতালির হয়ে বার্নার্দেস্কি গোল করলে ইতালি এগিয়ে যায় ৩-২ ব্যবধানে।

ইংলিশদের চতুর্থ শট নিতে আসা জডান সানচোর শট রুখে দেন ইতালিয়ান গোলরক্ষক ডনারুমা। ইতালির পঞ্চম শট নিতে আসা জর্জিনহোর শট রুখে ইংলিশদের শিরোপা স্বপ্ন ধরে রাখেন পিকফোর্ড। তবে ইংল্যান্ডের হয়ে শেষ শট নিতে আসা বুকায়ো সাকাকে দুই হাত দিয়ে রুখে দেন ডনারুমা। আর তাতেই ৫৩ বছর পর ইউরোপ সেরার মুকুট পুনরুদ্ধার করল ইতালি।

অবশ্য কেবল ফাইনালেই নয়, সেমিফাইনালে আজ্জুরিদের জয়ের নায়কও ছিলেন ডনারুমাই। ২২ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক স্পেনের বিপক্ষেও দুটি সেভ দিয়ে দলকে টাইব্রেকারে জয় এনে দিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও গ্রুপ পর্বে তুরস্ক, সুইজারল্যান্ড এবং ওয়েলসের বিপক্ষে রেখেছিলেন জাল অক্ষত। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে মাত্র চারটি গোল হজম করেছেন ডনারুমা।

বিজ্ঞাপন

দুর্দান্ত পারফর্ম করেই টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন ডনারুমা। তাঁর আগে ১৯৯৬ সালে জার্মানির ম্যাথিয়াস সাম্মার, ২০০০ সালে ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান, ২০০৪ সালে গ্রীসের থিওডোরোস জাগোরাকিস, ২০০৮ সালে স্পেনের জাভি হার্নান্দেজ, ২০১২ সালে স্পেনের আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা এবং ২০১৬ সালে ফ্রান্সে অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান জিতেছিলেন এই পুরস্কার।

এদিকে টুর্নামেন্টের শেষ ষোলতে বেলজিয়ামের কাছে হেরে বাদ পড়া পর্তুগালকে নকআউট পর্বের টিকিট এনে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। টুর্নামেন্ট গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই রোনালদো করেছিলেন পাঁচটি গোল আর দলের করা বাকি দুই গোলের একটির অ্যাসিস্ট এসেছিল রোনালদোর কাছ থেকে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ পাঁচ গোল করেছিলেন চেক প্রজাতন্ত্রের প্যাট্রিক শিকও। তবে রোনালদো অ্যাসিস্ট সংখ্যায় এগিয়ে থাকায় গোল্ডেন বুট জিতেছেন এই পর্তুগিজ।

ইউরোর সর্বোচ্চ গোলদাতা-

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল)- ৫ গোল, এক অ্যাসিস্ট।

প্যাট্রিক শিক (চেক প্রজাতন্ত্র)- ৫ গোল।

হ্যারি কেইন (ইংল্যান্ড)- ৪ গোল।

রোমেলো লুকাকু (বেলজিয়াম)- ৪ গোল।

করিম বেনজেমা (ফ্রান্স)- ৪ গোল

এমিল ফোর্সবার্গ (সুইডেন)- ৪ গোল, এক অ্যাসিস্ট।

ফাইনালে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হারলেও এদিনও দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন জর্ডান পিকফোর্ড। টাইব্রেকারে রুখে দিয়েছিলেন একটি শটও। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। তবে গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে ইংল্যান্ড মাত্র দুটি গোল হজম করার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান পিকফোর্ডেরই। আর তাই তো টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার উঠেছে তাঁর হাতেই। ইউরো ২০২০ এর গোল্ডেন গ্লাভস জিতেছেন জর্ডান পিকফোর্ড।

গোটা টুর্নামেন্টের ৭টি ম্যাচের মধ্যে ৫টিতেই ইংলিশদের ক্লিনশিট এনে দিয়েছেন পিকফোর্ড। তারপরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্লিনশিট বেলজিয়ামের থিবো কোর্তোয়া এবং ইতালির জিয়ানলুইগি ডনারুমার তিনটি করে।

সারাবাংলা/এসএস

ইউরো ২০২০ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো গোল্ডেন বুট জিয়ানুলুগি ডনারুমা টপ নিউজ টুর্নামেন্ট সেরা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ইনজুরিতে মৌসুম শেষ রদ্রির
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:২৮

সম্পর্কিত খবর