পেনাল্টি মিস করায় বর্ণবাদের শিকার রাশফোর্ডরা
১২ জুলাই ২০২১ ২৩:০৪
সময়ের ব্যবধানে কতো কিছুই না পাল্টে যায়! এবারের ইউরোতে নিজেদের প্রতিটি ম্যাচেই হাঁটু গেড়ে বর্ণবাদের বিপক্ষে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের ফুটবলাররা। অথচ ফাইনালের পর সেই দলের ফুটবলারদেরই কিনা বর্ণবাদের শিকার হতো হলো! ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপের পর প্রথম মেজর টুর্নামেন্ট জয়ের স্বপ্ন পূরণের কাছাকাছি গিয়েছিল ইংল্যান্ড। স্বপ্নটা পূরণ হয়নি, টাইব্রেকার ইতালির কাছে ২-৩ গোলে হরেছে এবারের ইউরো শিরোপা জেতা হয়নি ইংলিশদের।
ফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ গোলে সমতা হলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। তাতে ইংল্যান্ডের হয়ে পেনাল্টি মিস করেন মার্কাস রাশফোর্ড, জ্যাডোন সাঞ্চো ও বুয়াকো সাকা। এই তিনজন শ্বেতাঙ্গ নন। পেনাল্টি মিসের পর নিজ দেশের সমর্থকদের রোষাণলে পড়েছেন তিনজন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্ণবাদী ট্রল করা হচ্ছে তিনজনকে নিয়ে।
অবশ্য বাজে সময়ে রাশফোর্ডরা পাশে অনেককেই পাচ্ছেন। এই ঘটনার চরম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইংল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশন, তদন্ত শুরু করেছে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ। ইংল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই গ্রীষ্মে আমাদের স্কোয়াডের খেলোয়াড়রা ইংল্যান্ডের জার্সির জন্য নিজেদের সর্বোচ্চ নিংড়ে দিয়েছে। অথচ আজ রাতের খেলা শেষে তারাই বৈষম্যমুলক আচরণের। আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের পাশে আছি।’
ইংল্যান্ড ফুটবল আসোসিয়েশন (এফএ) আলাদা বিবৃতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব নিতে হবে এবং আপত্তিজনক মন্তব্যকারীদের নিষিদ্ধ করতে হবে। প্রমাণাদি সংগ্রহ করতে হবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে এবং তাদের প্লাটফর্মকে এই ধরনের ঘৃণা-বিদ্বেষমূলক গালাগালি থেকে নিরাপদ রাখার জন্য সহায়তা করতে হবে।’
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ টুইটে জানিয়েছে, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু বর্ণবাদী পোস্টের ব্যাপারে আমরা অবগত হয়েছি। এই ধরনের আচরণ একদমই অগ্রহণযোগ্য। এসব সহ্য করা হবে না। এটা তদন্ত করা হচ্ছে।’
ঘটনার সমালোচনা করেছেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও। তিনি বলেন, ‘এই ইংল্যান্ড দলের নায়কের মর্যাদা প্রাপ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্ণবাদের শিকার হওয়া নয়। যারা এই কাজ করেছে, তাদের নিজেদের নিয়ে লজ্জিত হওয়া উচিত।’