বাধ্য হয়েই সিদ্ধান্ত বদলাতে হচ্ছে মুশফিককে
১৩ জুলাই ২০২১ ১৬:১৭
আগস্টে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠেয় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে হলে মুশফিকুর রহিমকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি টোয়েন্টি সিরিজ খেলতেই হবে। যদি না খেলেন তাহলে ঘরের মাঠে অজিদের বিপক্ষে বহুল প্রত্যাশিত সিরিজ থেকে ছিটকে যাবেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
বিষয়টি এমন, করোনাকালের এই সিরিজ সামনে রেখে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) শর্ত দিয়েছে যে, টি টোয়েন্টি দলের প্রতিটি সদস্যকেই ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। না হলে তাদের সঙ্গে খেলা যাবে না। সেক্ষেত্রে মুশফিক যদি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০ জুলাই তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডে খেলে ২২ তারিখ দেশে ফেরেন তার ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ হবে ১ আগস্ট। আর জিম্বাবুয়ে সিরিজ শুরু হবে ২ আগস্ট। কিন্তু দলের সঙ্গে জিম্বাবুয়ে থেকে টি টোয়েন্টি সিরিজ খেলে ফিরলে তা আর করতে হচ্ছে না। যেহেতু তিনি ওখানে বায়ো বাবলে আছেন। কাজেই ধরেই নেয়া যায় যে তিনি জিম্বাবুয়ে সফরে টি টোয়েন্টি খেলছেন, যা খেলতে সিরিজের আগে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
তিনি বলেন, ‘মুশফিক যদি জিম্বাবুয়ে থেকে ওয়ানডে খেলেই ফিরে আসে তাহলে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজে খেলতে পারবে না। কারণ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, ওদের সঙ্গে খেলতে হলে দেশে অবস্থানরত টি টোয়েন্টি দলের সবাইকে দশ দিনের কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। ও ওয়ানডে খেলে ফিরবে ২২ তারিখ। সেক্ষেত্রে ওর দশ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ হবে ১ আগস্ট। মানে ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে পারছে না। যদি ও আমাদের টি টোয়েন্টি দলের সঙ্গে ফেরে তাহলে খেলতে পারবে। কেননা সেক্ষেত্রে ওকে কোয়ারেন্টাইন করতে হবে না।’
গেল মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল ঘোষণার আগে মুশফিক জানিয়েছিলেন, ‘টানা বায়ো বাবলে থাকায় তিনি হাঁপিয়ে উঠেছেন তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে চান না।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের টি টোয়েন্টি খেলতে চলতি মাসের শেষ দিকে সফর করার কথা রয়েছে টিম অস্ট্রেলিয়ার। প্রতিটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।