বিপদ কাটিয়ে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং স্কোর
১৬ জুলাই ২০২১ ১৭:৩৮
পেসবান্ধব উইকেটে প্রথমে ব্যাটি করতে নেমে বড় বিপদেই পড়েছিল বাংলাদেশ। ২০ ওভার শেষে সফরকারীদের রান ছিল মাত্র ৮১। ততক্ষণে একে একে বিদায় তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তবে শুরুতে বিপদে পড়া বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত বেশ চ্যালেঞ্জিং স্কোরই গড়েছে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তুলেছে তামিম ইকবালের দল।
বিপদের মুখে দারুণ এক সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশের ইনিংসের বড় নেতা লিটন কুমার দাস। মাঝখানে দারুণ কার্যকারী এক ইনিংস খেলেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।
জিম্বাবুয়ের অন্যান্য মাঠগুলোর মতো হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠের পিচও বেশ গতিময়। ফলে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিং করতে হলে সেটা যে চ্যালেঞ্জিং হবে তা আগে থেকেই আন্দাজ করা যাচ্ছিল। গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক তামিম ইকবালও বলেছিলেন, ‘প্রথমে ব্যাটিং করলে প্রথম ঘণ্টাটা দেখেশুনে খেলতে হবে।’ কিন্তু আজ দেখেশুনে খেলেও বিপদ কাটাতে পারল না বাংলাদেশ।
ব্লেসিং মুজারাবানি ও দুই বছর পর দলে ফেরা টেন্ডায় চাতারা শুরুতে বড় বড় সুইং আর বাড়তি বাউন্স পাচ্ছিলেন। সুইং আর বাউন্সে বাংলাদেশি ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলে ছেড়েছেন দুজন। বাংলাদেশি টপ অর্ডার পারেনি দাঁতে দাঁত উইকেটে পড়ে থাকতে। ৭৪ রান তুলতেই চার উইকেট নেই বাংলাদেশের। তবে দীর্ঘ দিন অপ ফর্মে থাকার পর টেস্ট ম্যাচে রানের দেখা পাওয়া লিটন দাস টিকে থেকেছেন।
বল একটু পুরনো হলে এবং উইকেটের আদ্রতা কেটে গেলে স্বাভাবিক ব্যাটিংয়ে দলের রান বাড়িয়েছেন লিটন। মিডল অর্ডারে তাকে বড় সঙ্গ দিয়েছেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। সেট হয়ে বড় ইনিংস না খেলতে পারার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়লেও পঞ্চম উইকেট জুটিতে লিটনের সঙ্গে ৯২ রানের জুটি গড়েন মাহমুদুউল্লাহ।
৫২ বলে ৩৩ রান করে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ। তার পরপরই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন লিটন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটা লিটনের তৃতীয় সেঞ্চুরি। ১১০ বলে সেঞ্চুরি ছুয়ে ফিরেছেন ১০২ রানের মাথায়। তার ইনিংসে চারের মার ৮টি।
পরে আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদি হাসান মিরাজ কার্যকরী একটা জুটি গড়ে বাংলাদেশকে আড়াইশ’র ওপারে নিয়েছেন। আফিফ হাফ সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে ফিরেছেন ৩৫ বলে ৪৫ রান করেন। তার ইনিংসে চার ১টি, ছক্কা ২টি। মেহেদি ২৫ বলে করেছেন ২৬ রান।
জিম্বাবুয়ের হয়ে লুক জংয়ে ৫১ বলে ৩টি ও মুজারাবানি ৪৭ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন।