Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লিটন বললেন, কোভিড বিরতিতে মনোযোগ হারিয়েছিলাম


১৬ জুলাই ২০২১ ২২:১৭

২০২০ সালের মার্চে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে দুই সেঞ্চুরি করেছিলেন লিটন কুমার দাস। তার মধ্যে একটিতে তামিম ইকবালের ১৫৮ রানকে ছাড়িয়ে দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড গড়লেন, ১৭৬ রান। তারপর থেকেই কই যেন হারিয়ে গেলেন লিটন! টানা ব্যর্থতার কারণে দল থেকে বাদও পড়লেন। আজ আরেকটা সেঞ্চুরি করে তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটার বলেছেন, কোভিড বিরতিতে মনোযোগ হারিয়েছিলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

করোনা পৃথিবীকে অকেজো করে দেওয়ার আগের সময়টাতে ব্যাট হাতে কী দুর্দান্তই না কাটছিল লিটনের। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ওয়ানডের দুটিতে সেঞ্চুরি করলেন, তামিম ইকবালের সঙ্গে জুটির রেকর্ড গড়লেন। টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুই ম্যাচেও অর্ধ শতক পান লিটন।

জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষ হতেই করোনায় ছেয়ে গেল পৃথিবী। প্রায় একটা বছর ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। তবে ভাইরাসটিকে পাশ কাটিয়ে এখন এগিয়ে চলছে বিশ্ব, কিন্তু লিটন তার ফর্ম যেন কই হারিয়ে ফেললেন! রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরির পরের আট ওয়ানডেতে তার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২২! বারবার আউট হচ্ছিলেন দৃষ্টিকটুভাবে। কখনো খোঁচা মেরে, কখনো ভুল শট খেলে। দল থেকে বাদও পড়তে হলো। সর্বশেষ শ্রীলংকা সিরিজে ছেঁটে ফেলা হয়েছিল তাকে।

জিম্বাবুয়েতে এসে প্রথমে টেস্টে রান পেলেন। টেস্টের প্রথম ইনিংসে করলেন ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৯৫ রান। ফলে ওয়ানডে দলে আবারও ফেরানো হলে। ফিরেই পেলেন সেঞ্চুরি। দলের যখন চরম বিপদ তখন একপ্রান্ত আগলে রেখে দারুণ এক সেঞ্চুরি করে দলের বড় সংগ্রহ নিশ্চিত করেছেন ডানহাতি ক্রিকেটার। দল বড় ব্যবধানে জিতলে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পেয়েছেন।

ম্যাচ শেষে তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটার বলছিলেন, ‘আমার চাওয়া তো সবসময়ই রান করা। শুধু আমি না, প্রতিটা ব্যাটারই চাইবেন যখনই ক্রিজে যায় রান করবেন। কোভিডের আগে আমি একটা ভালো ধারাবাহিকতা পেয়েছিলাম। ওই সময় কোভিড না হয়ে যদি স্বাভাবিক খেলা চলত তাহলে হয়তবা সুযোগ ছিল ভালো পারফর্ম করার, কারণ ওই সময় আমার পিক টাইম চলছিল। কোভিডের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাটা একটু কঠিন হয়ে গেছে আমার জন্য। কারণ মাথায় অনেক চিন্তা ছিল যে পারফর্ম করতে হবে, পরিস্থিতিও কঠিন ছিল। এভাবে দেখতে দেখতে আটটা ইনিংস গেছে।’

বিজ্ঞাপন

ওই সময়টা নিশ্চয় খারাপ কেটেছে লিটনের। চার পাশ থেকে ছুটে এসেছে অজস্র সমালোচনা তীর। কাউকে কিছু বলতেও পারেননি। লিটন বললেন, কঠিন সময়ে সিনিয়র ক্রিকেটার, পরিবার বিশেষ করে স্ত্রীর বড় সমর্থন পেয়েছেন তিনি, ‘চেষ্টা করেছি যতো ইনিংসই খেলি না কেন যেন ভাল করতে পারি, দলকে কিছু দিতে পারি। পাশাপাশি বড়রা সমর্থন দিয়ে গেছেন, পরিবার বিশেষ করে ওয়াইফের কাছ থেকে সমর্থন এসেছে।’

আজ ব্যাটিংয়ের সময় ড্রাইভ দেওয়ার পর ব্যাথায় কাৎরাতে দেখা গেছে লিটনকে। পরে ফিল্ডিংও করেননি তিনি। ম্যাচ শেষে জানালেন, ইনজুরি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই, ‘না ইনজুরি আসলে ওইরকম কিছু না। রিস্টের ইনজুরি আগেও ছিল যে কারণে আমি আগে খেলতে পারিনি। সে জায়গাটাতেই হালকা ব্যাথা লাগছে। এছাড়া গ্রোয়েনে একটু চোট লেগেছে কিন্তু আশাকরি এটা বিশ্রাম নিলে ঠিক হয়ে যাবে।’

তামিম ইকবাল বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ লিটন দাস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর