যে কারণে রান পাচ্ছিলেন না সাকিব
১৮ জুলাই ২০২১ ২৩:৩৬
সেট হয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসছিলেন, কখনো আবার বাড়তি তাড়াহুড়া করতে গিয়ে আউট হচ্ছিলেন। কিছুতেই রানের দেখা পাচ্ছিলেন না সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে অনেকদিন অফ ফর্মে থাকা সাকিব আজ অবশেষে রান পেয়েছেন। বললেন, বেশি চিন্তা করতে গিয়েই বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলেন তিনি।
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে রানের বন্যা বইয়ে দেওয়ার পরই আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন। এক বছর পর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরলেন ঠিকই কিন্তু রান তোলার ক্ষমতা কই যেন হারিয়ে এলেন! ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজে একটা ফিফটি পেয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা কটিয়ে ফেরার পর বলার মতো রান ছিল সেটিই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ, শ্রীলংকা সিরিজ ও জিম্বাবুয়ের সিরিজের প্রথম টেস্ট এবং প্রথম ওয়ানডেতেও ব্যাট হাসেনি তার।
মাঝে ঘরোয়া আইপিএল এবং ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও (ডিপিএল) ব্যাটিংয়ে ব্যর্থতা দীর্ঘ করেছেন সাকিব। আজ এমন সময় অফ ফর্ম কাটালেন যখন দলের খুবই দরকার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা সর্বশেষ ১৮ ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। ব্যবধানটা ১৯ হওয়ার আগে আজ তৈরি হয়েছিল বড় অনিশ্চয়তা। জিম্বাবুয়ের ২৪০ রানের জবাব দিতেে নেমে ১৪৫ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রেখে অবিচল ছিলেন সাকিব।
সেঞ্চুরি পাননি মাত্র ৪ রানের জন্য, দলের জয় নিশ্চিত হওয়ার সময় ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। তবে সেঞ্চুরি না পেলেও সাকিব আজ অনেক কিচুই পেয়েছেন। ম্যাচ শেষে এতো দিনের অফ ফর্মের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলো।
সাকিবের উত্তর, ‘মাইন্ডসেটটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় আমি অনেক বেশি চিন্তা করছিলাম, যা এই ম্যাচের আগে পরিবর্তন করেছি। কিছু জিনিস এই ম্যাচের আগে আমাকে মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়তা করেছে। চেষ্টা করব এই মনোযোগ যেন ধরে রাখতে পারি। এতদিন খেলার পর এখন যে অবস্থায় আছি, খুব বেশি টেকনিক্যাল সমস্যা হয় না। মানসিক সমস্যাই বেশি হয়। মানসিক গেম যদি নিজের সাথে নিজে জিততে পারি তাহলে মনে হয় আমার জন্য নিয়মিত রান করা সম্ভব।’
দল বড় বিপদে পড়লেও একপ্রান্ত আগলে রেখে রান তুলে যাচ্ছিলেন সাকিব। কী পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছিলেন তিনি? বললেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় একটা কথাই বলছিলাম- আমরা ব্যাটসম্যানরা ৪৫ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করলে দেখতে পারব কোথায় আছি। এরপর ১৫-২০ বা ৩০ রান ২-৩ ওভারেও করা সম্ভব এখনকার ওয়ানডে ক্রিকেটে। সবসময় টার্গেট ছিল খেলা যতটা ক্লোজ করতে পারি, তারপর জয়ের ব্যাপারে দেখব। তখনও ভাবিনি আমাদের ৬০-৭০ রান লাগে এবং সেটা দ্রুত তাড়া করতে হবে। সবসময় জানতাম, এখনকার ওয়ানডে ক্রিকেটে এই পরিস্থিতি থেকে রানটি তাড়া করা খুবই সম্ভব।’