শেষবার ২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় বসেছিল অলিম্পিক গেমসের আসর। আর এর ঠিক ৩২ বছর আবারও অস্ট্রেলিয়ায় ফিরতে যাচ্ছে বিশ্ব ক্রীড়া জগতের সর্বোচ্চ আসর অলিম্পিক। বুধবার ২০৩২ অলিম্পিকের আসর কোথায় অনুষ্ঠিত হবে সে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। ৩২ বছর পর ফের অলিম্পিক ফিরছে অস্ট্রেলিয়াতে। অস্ট্রেলিয়ার ব্রিজবেনে বসবে সে আসর।
এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো বৈশ্বিক সবচেয়ে এ আসর আয়োজন করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। সবশেষ ২০০০ সালে সিডনিতে অলিম্পিক আয়োজন করেছিল দেশটি। এর আগে ১৯৫৬ সালে মেলবোর্নে বসেছিল ক্রীড়াবিশ্বের সবচেয়ে বড় এ আসর।
কেবল অস্ট্রেলিয়ায় নয়, ২০৩২ অলিম্পিক আয়োজনে আগ্রহী ছিল ইন্দোনেশিয়া, জার্মানি, চীন, হাঙ্গেরি ও কাতার। তবে আইওসির নতুন নিয়মে এগিয়ে যায় ব্রিজবেন। কারণ প্রার্থীদের প্রকাশ্যে একে অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই। আয়োজক শহর হিসেবে গত ফ্রেব্রুয়ারিতেই এগিয়ে যায় ব্রিজবেন। এদিন ভোটাভুটিতে মোট ৮০ ভোটের ৭২ ভোট যায় তাদের পক্ষে। সে বছর প্যারা অলিম্পিকও অনুষ্ঠিত হবে ব্রিজবেনে।
আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ২০২০ অলিম্পিক। জাপানের রাজধানী টোকিওতে অনুষ্ঠিত হবে এবারের আসর। এর আগেই ঘোষণা এলো ২০৩২ অলিম্পিকের আয়োজক শহরের। টোকিও অলিম্পিক অবশ্য গত বছরই মাঠে গড়ানো কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ২০২৪ অলিম্পিক হবে ফ্রান্সের প্যারিসে। ২০২৮ অলিম্পিকের আয়োজক শহর যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস। সব মিলিয়ে অলিম্পিকের প্রস্তুতির জন্য ১১ বছর সময় পাচ্ছে ব্রিজবেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে তৃতীয়বারের মতো অস্ট্রেলিয়া আয়োজক হওয়ায় দারুণ উচ্ছ্বসিত অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির ভোটারদের সঙ্গে ভিডিও লিংকে ১১ মিনিট ধরে কথা বলেছেন অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তৃতীয়বারের মতো অস্ট্রেলিয়া আয়োজক হওয়ায় উচ্ছ্বসিত মরিসন। তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়াতে একটা সফল গেমস আয়োজন করতে কি লাগে সেটা আমরা জানি। কেবল ব্রিজবেন ও কুইন্সল্যান্ড নয়, পুরো দেশের জন্যই এটি ঐতিহাসিক একটা দিন।’