বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন কে?
২৯ জুলাই ২০২১ ১৭:৩৭
বাংলাদেশ ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে অনেকদিন ধরেই। আলোচিত এই সিরিজ দরজায় কড়া নাড়ছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বিকেলে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩ আগস্ট থেকে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া লড়াই। প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন কে?
চোটে পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত রঙিন পোশাকের ক্রিকেটের অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। প্রশ্নটি উঠছে সেই কারণেই। ফিঞ্চের অনুপস্থিতিতে সদ্য সমাপ্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অ্যালেক্স ক্যারি। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ক্যারির নেতৃত্ব প্রশংসিতও হয়েছে। তবে বাংলাদেশ সিরিজে নেতৃত্ব প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যমে উড়ছে আরও তিনটি নাম।
অনেকদিন ধরে অ্যালেক্স ক্যারি অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দলে নিয়মিত নয়। টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়কও নন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার টি-টেয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়ক উইকেটরক্ষক ব্যাটার ম্যাথু ওয়েড। বাংলাদেশ সিরিজের অধিনায়ক হিসেবে ওয়েডের নাম জোরেশোরেই উচ্চারিত হচ্ছে।
শোনা যাচ্ছে মিচেল মার্শ ও মোইজেস হেনরিকসের নামও। অভিজ্ঞ মার্শ অনেকদিন ধরেই অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বে আসার আলোচনায় আছেন। পূর্ন মেয়াদে অধিনায়ক বানানোর চিন্তাও করা হচ্ছিল তাকে। শেষ পর্যন্ত তা ব্যাটে-বলে মিলেনি। ফিঞ্চের অনুপস্থিতিতে মার্শের নেতৃত্বগুণ পরখ করে নেওয়ার চিন্তা করা হতে পারে এমনটি শোনা যাচ্ছে। এদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হেনরিকসকে। সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, হেনরিকসের ওপরও ভরসা করতে পারে অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্ট।
তবে চারজনের লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেওয়া অ্যালেক্স ক্যারি যে এগিয়ে আছেন সেটা বুঝা গেল জাস্টিন ল্যাঙ্গারের কথায়। বাংলাদেশ সিরিজের অধিনায়ক নির্বাচন প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচ বলেন, ‘আমরা এটি নিয়ে কাজ করব। এসব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ধারাবাহিক হতে চাই আমরা। আশা করি, উল্লেখযোগ্য একটা সময় ধরে দেখাতে পেরেছি যে দল ও নেতা নির্বাচন নিয়ে আমরা যথেষ্টই ধারাবাহিক এবং কোনো সংশয় নেই, বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টির ক্ষেত্রেও সেই ধারাবাহিকতা দেখানো হবে।’
অ্যালেক্স ক্যারির প্রসঙ্গে ল্যাঙ্গার বলেন, ‘অ্যালেক্সের অধিনায়কত্ব ছিল দুর্দান্ত। সে খুবই ধীরস্থির এবং ব্যাটিংয়ের সময় তার মুখের দিকে তাকালেই সেটা চোখে পড়ে। ওর ক্যারিয়ার জুড়েই তা দেখেছি আমরা।সে চূড়ান্ত পেশাদার, এজন্যই তার সঙ্গে কাজ করা সহজ। কারণ এটা জানা যে সে সবকিছুই ঠিকঠাক করবে। তার স্থিরতা, তার স্থৈর্য ও মাঠের বাইরে তার সবকিছুও আমার দারুণ লেগেছে। সে তাই দারুণ কাজ করেছে।’
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩ তারিখে শুরু হবে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি। সিরিজের বাকি ম্যাচগুলো মাঠে গড়াবে ৪, ৬, ৭ ও ৯ আগস্ট। সবকটি ম্যাচই মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায়।