বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে যোগ দিয়েছেন লিওনেল মেসি। তবে দলের সঙ্গে এখনো ঠিকমতো অনুশীলন করেননি মেসি। তাই তো এখনই পিএসজির জার্সি গায়ে চড়িয়ে মাঠে নামেননি মেসি। এছাড়াও কোপা আমেরিকার পর বিশ্রাম কাটিয়ে ফেরা নেইমারও ছিলেন না এদিন পিএসজির দলে। তবুও প্যারিসিয়ানদের জয় রুখতে পারেনি স্ট্রাসবার্গ। ম্যাচের প্রথমার্ধের ৩-০ গোলে লিড নেয় পিএসজি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল পরিশোধ করে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় স্ট্রাসবার্গ। কিন্তু শেষ দিকে পাবলো সারাবিয়া গোল করলে ৪-২ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।
নেইমার-মেসিহীন পিএসজিকে জেতানোর দায়ভার পড়ে কিলিয়ান এমবাপের কাঁধে। আর নিজের দায়িত্বটা ঠিকই পালন করেছেন এই ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড। এক গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও একটি গোল। ম্যাচের শুরুতে মাউরো ইকার্দির গোলে লিড নেওয়া পিএসজির ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কিলিয়ান এমবাপে। এরপর খেলার সময় আধা ঘণ্টা স্পর্শ করার আগেই ব্যবধান ৩-০ করেন জুলিয়ান ড্রাক্সলার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কেবিন গ্যামেইরো গোল করে স্ট্রাসবার্গকে ম্যাচে ফেরানোর ইঙ্গিত দেন। এরপর লিডোভিচের গোলে ব্যবধান ৩-২ করে স্ট্রাসবার্গ কিন্তু শেষ দিকে এমবাপের অ্যাসিস্ট থেকে পাবলো সারাবিয়া গোল করে পিএসজির ৪-২ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন।
ম্যাচ শুরুর আগে এদিন পার্ক ডে প্রিন্সে সমর্থকরা স্বাগত জানায় লিওনেল মেসি, সার্জিও রামোস, জিয়ানলুইগি ডনারুমা, আশরাফ হাকিমি এবং জর্জিনিও ওয়াইনাল্ডুমকে। ইনজুরির কারণে সার্জিও রামোস, আর দেরিতে দলে যোগ দেওয়ায় লিওনেল মেসিকে এদিন পিএসজির জার্সি পরে মাঠে নামতে দেখা যায়নি। আর কোপা আমেরিকা খেলে ফেরা নেইমার এখনও দলের সঙ্গে পূর্ণ অনুশীলন না করাতে ছিলেন না স্কোয়াডে।
তবে তাতে কি ম্যাচের শুরুতেই দলকে লিড এনে দেন মাউরি ইকার্দি। ম্যাচের তিন মিনিটের মাথায় বাঁ দিক থেকে আব্দৌ ডায়ালোর দারুণ এক ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে ইকার্দি বল জালে জড়ালে ১-০’তে লিড নেয় পিএসজি। এরপর ম্যাচের ২৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কিলিয়ান এমবাপে।
ডি-বক্সের ভেতর বল জিতে তা এমবাপের দিকে বাড়িয়ে দেন জুলিয়ান ড্রাক্সালার। আর দারুণ জায়গায় বল পেয়ে ডান পায়ের জোরালো শট নেন এমবাপে, তার শট স্ট্রাসবার্গের আহরকের গায়ে লেগে প্রতিফলিত হয়ে জালে জড়ালে পিএসজি এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে।
খেলার সময় আধাঘণ্টা ছোঁয়ার আগেই আরও এক দারুণ আক্রমণে ব্যবধান ৩-০ করে পিএসজি। এবারে গোলদাতা ড্রাক্সলার। ২৭তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে স্ট্রাসবার্গের রক্ষণ ভেঙে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন এমবাপে। আর বল বাড়ান ডি-বক্সের মধ্যে থাকা ড্রাক্সলারের কাছে, দারুণ এই বল পেয়ে তা জালে জড়াতে একটুও ভুল করেননি তিনি। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হওয়ায় ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় পিএসজি।
বিরতি থেকে ফিরেই উলটে যায় পাশার দান। ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে কেভিন গ্যামেইরোর গোলে ব্যবধান ৩-১ করে স্ট্রাসবার্গ। আর ৬৪তম মিনিটে ৩-২ করেন লুডোভিক আহরকে। শেষ দিকে ম্যাচ বেশ জমে উঠছিল। তবে পিএসজি নিজেদের অবস্থান ধরে রেখে আক্রমণ সাঁজাতে থাকে।
শেষ দিকে ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে স্ট্রাসবার্গের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন পাবলো সারাবিয়া। বাঁ দিক থেকে এমবাপের মাটি কামড়ানো ক্রস গোলমুখে পেয়েই টোকাতে জালে জড়ান সারবিয়া। আর তাতেই ব্যবধান ৪-২ করে পিএসজি। এর আগে অবশ্য ম্যাচের ৮১তম মিনিটে ইকার্দিকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন স্ট্রাসবার্গের আলেক্সান্ডার ডেকু।