ভালো খেললেও ইতিহাস গড়া হলো না বসুন্ধরার
২৪ আগস্ট ২০২১ ২০:২৭
সমীকরণটা পরিস্কার ছিল। এএফসি কাপের নকআউট পর্বে যেতে হলে কলকাতার মোহনবাগানকে হারাতে হবে। তেমনটা হলে ইতিহাস গড়ত বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস। প্রথমবারের মতো আন্তআঞ্চলিক পর্বের সেমিফাইনালে উঠে যেত দলটি। তবে ভালো খেললেও লক্ষ্যটা অর্জন হলো না। প্রথমে এগিয়ে গিয়েও মোহনবাগানের বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্র করেছে দলটি।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) মালদ্বীপের মালেতে বাংলাদেশের ক্লাবটিকে সবচেয়ে বেশি ডুবিয়েছে সুশান্ত ত্রিপুরার লাল কার্ড। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে লাল কার্ড দেখেন সুশান্ত। তার আগে ম্যাচে একক আধিপত্য বজায় রেখে খেলেছে বসুন্ধরা। দশ জনের দলে পরিনত হওয়ার পরও শেষ দিকে ম্যাচে ছড়ি ঘুরিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু দাঁতে দাঁত চেপে বসুন্ধরার আক্রমণ আটকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই পরের রাউন্ড নিশ্চিত করল কলকাতার ক্লাবটি।
৪-১-৪-১ ফরমেশনে দল সাজিয়ে মাঠে নেমেছিল বসুন্ধরা। নিজেদের অর্ধের প্রতিপক্ষকে চড়াও হতে না দেওয়ার লক্ষ্যেই অস্কার ব্রুজোনের এই পরিকল্পনা। প্রথমার্ধে মোহনবাগন চড়াও হতে পারেনওনি। বলের দখল, গোলের সুযোগ তৈরি সবখানেই এগিয়ে ছিল বসুন্ধরা। ১৫ মিনিটে তপু বর্মণের হেড গোল মুখ থেকে ক্লিয়ার করেন প্রিতম কোটাল। ২৩ মিনিটে মোহনবাগানের রয় কৃষ্ণার ব্যাকভলি ক্রসবারের উপরে দিয়ে গেছে।
২৮ মিনিটে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। ডান পায়ের জোরালো শটে কাছের পোস্ট দিয়ে গোল করেন তিনি। এই স্বস্তিটা বড় ধাক্কা খায় প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। সরাসরি লাল কার্ড দেখেন সুশান্ত। অবশ্য সুশান্তকে লাল কার্ড দেখানোর বিষয়টি প্রশ্নবোধক।
একজন কম নিয়ে খেলা বসুন্ধরা গোল হজম করে ৬২ মিনিটে। লিস্টনের পাসে থেকে গোলটি করেন অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ড উইলিয়াম। পরবর্তী রাউন্ডে যেতে ড্র হলেই চলত মোহনবাগানের। কলকাতার ক্লাবটি তাই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করেনি সেভাবে। সমতা ধরে রাখতে নিজেদের রক্ষণেই বেশি মনোযোগ দেয় ক্লাবটি।
শেষ দিকে গোলের জন্য মরিয়া চেষ্টা করে বসুন্ধরা। বেশ কিছু সুযোগও তৈরি হয়। ৮৪ মিনিটে রবসনের শট পোস্টে লেগে বাইরে যায়। শেষ পর্যন্ত গোলটা আর পায়নি বাংলাদেশের ক্লাবটি। যাতে এএফসি কাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় বসুন্ধরার। সুশান্তের লাল কার্ডটা এখন নিশ্চয় পোড়াবে বসুন্ধরাকে।