ভবিষ্যতে সভাপতি ছাড়াও বিসিবি চলতে পারবে: পাপন
২৬ আগস্ট ২০২১ ২৩:১৬
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দীর্ঘ চার বছর পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি’র বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হলো। এই সভাকে ঘিরে ক্রিকেট পাড়ায় তাই বাড়তি উত্তেজনা ছিল। সভা শেষে বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন নিজেদের সাফল্য আর ব্যর্থতার সকল তথ্য তুলে ধরেছেন। বিসিবি সভাপতি জানান, বর্তমান বোর্ডের সবাই দুর্দান্ত কাজ করছে। সব জায়গাতেই কাজের মানুষগুলোই আছে।
আ হ ম মোস্তফা কামাল আইসিসি’র সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১২ সালে বিসিবি সভাপতির পদে বসেন নাজমুল হাসান পাপন। এরপর টানা দুইবার কার্যনির্বাহী পর্ষদে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিতও হয়েছেন। তার মতে, বোর্ডে এখন পেশাদারিত্বের অবস্থা আগের চেয়েও ভালো।
পাপন বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, যে জিনিসটা প্রথম দিক থেকে আমার ইচ্ছে ছিল- একটা পেশাদার জায়গা তৈরি করা। আপনারা দেখবেন অনেকগুলো স্ট্যান্ডিং কমিটির কমিটিও নেই। তবে কাজ কিন্তু কোনোটাই বন্ধ ছিল না। কাজ হয়নি এরকম কখনও হয়নি।’
‘বর্তমান বোর্ডে একটা কোর টিম তৈরি হয়ে গেছে যে কারণে এ জিনিসটা আমরা অনুভব করি না। এখন লোক নিয়োগ দিয়ে দেখাতে পারি আপনাকে, কিন্তু কাজের মানুষ এরাই। কাজের মানুষদের খুঁজে বের করে একটা কোর টিম তৈরি করে দিয়েছি। আমার মনে হয় ভবিষ্যতে বোর্ড সভাপতিরও প্রয়োজন নেই। এমনিতেই চলবে।’—যোগ করেন পাপন।
বর্তমান বোর্ড ক্রিকেটের উন্নতির পেছনে দুর্দান্ত কাজ করেছে। গণমাধ্যমের সামনে সেসব তুলে ধরেছেন বিসিবি সভাপতি। আর তা তুলে ধরেছেন নিজেদের সাফল্য দেখিয়েই। বোর্ডের দূরদর্শিতার কারণেই যে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে সেটিও মনে করিয়ে দিতে ভুলেননি বিসিবি বস।
পাপন বলেন, ‘এই প্রথম আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য বিদেশি কোচ বা প্রশিক্ষক নিয়োগ করি শুধু তাই না বিশ্বকাপের আগে প্রায় ৩০টা আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করি। ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় আমরা তাদের খেলার ব্যবস্থা করি। অতএব বলার অপেক্ষাই থাকছে না অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবেই আমরা এগিয়েছিলাম। এবং আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল ফাইনাল খেলব। চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি এটা প্লাস এবং যখন ফাইনালে উঠেছি তখন মনে করেছি অবশ্যই আমরা জিতব। এবং আমরা জিততে পেরেছি।’
বোর্ডের সুগঠিত রূপ আর পরিকল্পনার রূপরেখা যে ক্রিকেটেরও উন্নতি করেছে, এমনটি ইঙ্গিত করে পাপন বলেন, ‘প্রথম এসে আপনাদের পেশাদারিত্ব নিয়ে কিছু কথা বলেছিলাম। এরপরের মেয়াদে র্যাংকিংয়ে সাফল্য পেয়েছি, শ্রীলংকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের উপরে আমরা আছি। এই মেয়াদে পাইপলাইন নিয়ে কাজ করেছি এবং পরিকল্পনামাফিক কাজ করে সফল হয়েছি।’
বাংলাদেশ দলের পাইপলাইন যে যথেষ্ট শক্তিশালী সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে পাপন বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই শুনে আসছি আমাদের প্লেয়ার সংকট। রিপ্লেসমেন্ট ছিল না। এখন বেশ কিছু প্লেয়ার আমাদের আছে। উদারহরণ হিসবে যদি বলি এই যে বিশ্বকাপ খেলতে যাবে। নাইম শেখ, আফিফ হোসেন অসাধারণ করেছে। এর বাইরেও অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে যে ছেলেগুলো এলো শরিফুল সেও দুর্দান্ত ছিল। এর আগে আমরা যাদের অপরিহার্য হিসেবে ধরতাম যাদের ছাড়া হবেই না। এখন সেটা নেই। এই যে একটা ছেলে এসে জায়গা করে নিল এটা গুড সাইন। এই যে নাসুম, শেখ মাহেদি জায়গা করে নিল এটা অসাধারণ। এই যে শামীম পাটোয়ারি, সেও অসাধারণ। এমনকি সোহান ফিরে এসেই যে খেলা দেখাচ্ছে, এটা বিশ্বমানের। ও বাংলাদেশের সেরা উইকেটরক্ষক এখন পর্যন্ত আমি যেটা দেখেছি।’
সারাবাংলা/এসএস
এজিএম অনুষ্ঠিত নাজমুল হাসান পাপন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)