একদিন পর থেকে শুরু হতে যাওয়া নিউজিল্যান্ড সিরিজের উইকেট কেমন হবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা। বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানালেন, ভালো উইকেট চান তিনি। যেখানে অন্তত ১৫০-১৬০ রান তোলা যায়।
সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বড় আলোচনার বিষয় ছিল উইকেট। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুই দলের দশ ইনিংস মিলিয়ে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১৩১। মিরপুরের উইকেট এমনিতেই বেশ মন্থর। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ব্যাটারদের জন্য উইকেট হয়ে পড়েছিল আরও কঠিন। স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন। পেসারদের স্লোয়ার বলগুলোও ছিল কঠিন। নিউজিল্যান্ড সিরিজেও বাংলাদেশ একই রকম উইকেটে খেলবে কিনা সেটা প্রশ্ন।
কারণ আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। স্পিন ধরলেও সেখানকার উইকেটে এতোটা মন্থর নয়। ১৮০-এর বেশি রান উঠে নিয়মিত। এদিকে নিউজিল্যান্ড সিরিজ বাদে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আর নেই। নিউজিল্যান্ড সিরিজকে মনে করা হচ্ছে শেষ প্রস্তুতি। ফলে মন্থর উইকেটে খেলে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি কতোটা হবে সেটা ভাবনার বিষয়।
আবার সিরিজ জয়ের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে দেশের মাটিতে খেলার সুযোগ খুব বেশি মিলে না বাংলাদেশের। সে হিসেবে নিজেদের পছন্দের মন্থর উইকেট বানিয়ে সিরিজ জয়ের ছক কষতে চাওয়াও স্বাভাবিক। শেষ পর্যন্ত স্বাগতিক বাংলাদেশ কোন সিদ্ধান্ত নেয় সেটা জানার জন্য ম্যাচ শুরু হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। এদিকে, ডমিঙ্গো জানিয়ে দিলেন নিজের মতামত।
উইকেট প্রসঙ্গে বাংলাদেশের হেড কোচ বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমি গ্রাউন্ডসম্যান নই। আমি ভালো উইকেটের আশায় আছি। তবে বছরের এ সময়ে আর্দ্রতা, বৃষ্টি মিলিয়ে অমন উইকেট বানানো কঠিন হবে অন্য সময়ের তুলনায়। তবে আমি ভালো উইকেটের আশা করছি। ভালো উইকেটে ব্যাটিং করে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর গুরুত্বটা জানি আমরা। একই সঙ্গে জিতে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ব্যাপারটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয়, মিরপুরের স্বাভাবিক উইকেট থাকবে, যেখানে ১৫০-১৬০ ভালো একটা স্কোর।’
বিশ্বকাপের আগে জয়ের আত্মবিশ্বাসও জরুরী বলেছেন প্রধান কোচ, ‘ব্যাটিংয়ের জন্য কন্ডিশন বেশ কঠিন ছিল। বড় স্কোরের দেখা পেলে অবশ্যই দারুণ হতো, তবে সেটা কন্ডিশনের ওপর নির্ভর করছে। আমার মনে হয়, বোলারদের আত্মবিশ্বাস ও জেতার মধ্যে থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দেশের মাটিতে খেলছি। বিশ্বকাপের আগে তাই আত্মবিশ্বাস নিয়েই খেলে যেতে চাই।’
সবকিছু ঠিক থাকলে ১ সেপ্টেম্বর মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচটি। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে বিকেল চারটায়।