বিশ্বকাপের আগে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের পরামর্শ পাইলটের
১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:৫৭
সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ১৩টি-টোয়েন্টির ৯টিতেই জিতল বাংলাদেশ। তবুও বিশ্বকাপ প্রস্তুতি কতটা হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন অনেকের। কারণ এই ১৩ ম্যাচের ১০টিই বাংলাদেশ খেলেছে দেশের মাটিতে অতি মন্থর পিচে। বিশ্বকাপের পিচ স্বাভাবিকভাবেই এতো মন্থর থাকবে না। দল জয়ের মধ্যে থাকলেও প্রস্তুতির ঘাটতির কথা শুনিয়েছেন স্বয়ং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এই ঘাটতি পোষাতে বিশ্বকাপের আগে দেশে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট।
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই সিরিজই মিরপুর শের-ই-বাংলার উইকেটে খেলেছে বাংলাদেশ। দুই সিরিজের ১০ ম্যাচের ২০ ইনিংস মিলিয়ে মাত্র একটি ইনিংস দেড়শ ছাড়িয়েছে। দুই সিরিজে মিরপুরের উইকেটে স্পিনারদের সঙ্গে সুবিধা পেয়েছেন পেসাররাও। বল পিচ হয়ে থেমে এসেছে। অসমান টার্ন পেয়েছেন স্পিনাররা, বাড়তি বাউন্সও ছিল।
বিশ্বকাপের ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাতেও হয়তো সুবিধা পাবেন স্পিনাররা, তবে এতটা নয় নিশ্চয়। আরব আমিরাতের উইকেটে টি-টোয়েন্টিতে ১৭০/১৮০-এর বেশি রান ওঠে নিয়মিতই। পাইলট বললেন, অমন উইকেটের জন্য দেশ থেকেই প্রস্তুত হয়ে যাওয়া দরকার। ব্যাটিং সহায়ক উইকেট বানিয়ে ক্রিকেটারদের অন্তত তিনটি ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেওয়ার কথা বললেন সাবেক অধিনায়ক।
সারাবাংলার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় পাইলট বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের যে আত্মবিশ্বাস, সেটা কাজে লাগাতে (বিশ্বকাপের আগে) হাতে থাকা একটি মাস কাজে লাগাতে হবে। আমার মনে হয় বিশ্বকাপের আগে দেশে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা দরকার। সবাই অনেকদিন ধরে টানা ক্রিকেটের মধ্যে আছে। তাদের একটু ফুসরত দরকার। তারপর বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে তিন-চারটি দল নিয়ে দেশেই একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যায়। সেই টুর্নামেন্ট এমন উইকেটে হবে যে উইকেটে দুইশর বেশি রান ওঠে। প্রাইজমানির ব্যবস্থাও করা দরকার, যেন প্রতিযোগিতার ধার বাড়ে। এতে খেলোয়াড়রা তিনপিট কোয়ালিটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে।’
এভাবে প্রস্তুতি নিলে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভালো করার সম্ভবনা আছে— এমন কথাও বলেছেন সাবেক অধিনায়ক, ‘গত দুই সিরিজে মাহমুদউল্লাহ, আফিফ অনেকেই ভালো স্কোর খেলেছে। এখন ভালো উইকেটে আরও বড় স্কোর যদি তারা করতে পারে তাহলে বড় স্কোর গড়ার অভ্যাসটা তাদের তৈরি হবে। আবার বোলাররা রান আটকানোর কৌশল ঝালাই করতে পারবে। কারণ ওখানে (বিশ্বকাপে) কিন্তু এত স্লো উইকেট থাকবে না।
‘এভাবে তিনটি ম্যাচ খেলে তাদের বিশ্বকাপে পাঠানো দরকার। আর এভাবে প্রস্তুতি নিয়ে যদি বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপ খেলতে যায়, তবে আমি মনে করি ভালো সম্ভবনাই আছে। আপাতত সেমিফাইলের কথাই বলব আমি,’— বলেন পাইলট।
উল্লেখ্য, এবারের বিশ্বকাপের মূল পর্বে যেতে প্রথম পর্ব পেরুতে হবে বাংলাদেশকে। প্রথম পর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড, ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনি। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে ১৭ অক্টোবর, প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড।