রান উৎসবের ম্যাচে মুমিনুল-মুশফিকদের জয়
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:৫০
বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও বিসিবি হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের লড়াইয়ে মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিমরা প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে রীতিমতো রান উৎসব করেছেন। পরে তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের মতো এইচপির তরুণরাও কম জাননি। রান উৎসবের ম্যাচে সিনিয়রদের কাছে ৩০ রানে হেরেছেন এইচপির জুনিয়ররা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের বাকি ক্রিকেটাররা আছেন ছুটির আমেজে। কিন্তু মুশফিকুর রহিম ম্যাচ খেলতে ব্যস্ত। চট্টগ্রামে ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলছে বিসিবির হাই পারফরম্যান্স দল। অনেকদিন ক্রিকেটের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের ম্যাচের মধ্যে রাখতেই মূলত এই সিরিজের আয়োজন। গত নিউজিল্যান্ড সিরিজে রান পাননি মুশি। তাই আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন ‘এ’ দলের বিপক্ষে এই সিরিজের প্রথম দুটি ওয়ানডে খেলতে চান তিনি। তার ইচ্ছা মতো সিরিজের সূচিও এগিয়ে আনা হয়।
এতোকিছুর সুফল অবশ্য পেলেন মুশফিক। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭০ রান করেছিলেন। আজ পেলেন আকেরটা হাফ সেঞ্চুরি। আজ ‘এ’ দলের সর্বোচ্চ স্কোরার অবশ্য মুমিনুল হক।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২২ রান তোলে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা ‘এ’ দল। প্রথম উইকেটে ১৫৪ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। শান্ত ৮৫ বল খেলে দুটি করে চার-ছয়ে ৬৭ রান করেন। আগের ম্যাচে মন্থর শুরু করা মুশফিক আজ তিনে নেমে রীতিমতো ঝড় তোলেন।
মুমিনুল-মুশফিকের দ্বিতীয় উইকেটে জুটি ছিল ৯৮ রানের। রেজাউর রহমানের স্লোয়ারে তালগোল পাকিয়ে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ৫৩ বলে ৬২ রান করেছেন মুশফিক। তার ইনিংসে চারের মার ৬টি, ছক্কা ১টি। মুমিনুলের সেঞ্চুরির ইনিংসটি ছিল দুর্দান্ত। ১২১ বল খেলে ১১টি চার ২টি ছয়ে ১২৮ রান করেছেন টেস্ট অধিনায়ক। মোহাম্মদ মিঠুন করেছেন ২৩ রান। এইচপির হয়ে ১০ ওভারে ৪২ রান খরচায় চার উইকেট নিয়েছেন রেজাউর রহমান।
পরে এইচপি থেমেছে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৯২ রানে। তরুণদের ইনিংসেও বড় অবদান ওপেনিং জুটি। ওপেনিং জুটিতে ১৩৬ রান তোলেন দুই তরুণ তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন। কিন্তু এরপর এক তাওহিদ হৃদয় ছাড়া বাকিদের কেউই প্রত্যাশা মতো ব্যাটিং করতে পারলেন না। যাতে ৩০ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে আকবর আলির দলকে।
তানজিদ ১০২ বল খেলে ৭টি চার ২টি ছয়ে ৮৬ রান করেছেন। পারভেজ ইমন ছিলেন বেশ আক্রমণাত্মক। তার ৭ চার ৪ ছয়ে ৭৭ রানের ইনিংসটি মাত্র ৫৮ বলে খেলা। তাওহিদ হৃদয় ৫৬ বল খেলে ১টি করে চার ছয়ে ৪৯ রান করেছেন। ‘এ’ দলের হয়ে রুবেল হোসেন তিন উইকেট পেলেও দশ ওভারে রান দিয়েছেন ৬৯। নাইম হাসান ৪৯ রানে ও কামরুল ইসলাম রাব্বি ৪৫ রানে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।