ইতালিকে থামিয়ে ফাইনালে স্পেন
৭ অক্টোবর ২০২১ ১০:৪৯
স্পেনের ফেরান তরেসের জোড়া গোলে প্রথমার্ধই বিপদে পড়েছিল ইতালি। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে অধিনায়ক লিওনার্দো বোনুচ্চি লাল কার্ড দেখে বিপদ আরও বাড়ান। শেষ দিকে অবশ্য একটা গোল আদায় করতে পেরেছে ইতালি, তবে হার এড়ানো সম্ভব হয়নি। উয়েফা নেশন্স লিগের প্রথম সেমিফাইনালে ইতালিকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে স্পেন।
দারুণ একটা প্রতিশোধও নেওয়া হয়ে গেল স্প্যানিশদের। মাস তিনেক আগে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ইতালির বিপক্ষে হেরেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল স্পেনের। আরেকটা সেমির দেখায় ইতালিয়ানদের হারিয়ে দিল স্প্যানিশরা। সব মিলিয়ে বিশ্বরেকর্ড ৩৭ ম্যাচ পর হারের তেতো স্বাদ পেল রবার্তো মানচিনির ইতালি।
বুধবার (৬ অক্টোবর) রাতে মিলানের সান সিরোয় বল দখলের লড়াইয়ে স্পেন ছিল অনেকটা এগিয়ে। গোললক্ষ্যে ১৩টি শট নিয়েছিল দলটি, তার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল চারটি। অপর দিকে ইতালি শট নিয়েছিল আটটি, তার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল পাঁচটি।
ম্যাচের প্রথম সুযোগটা ইতালিই পেয়েছিল। দূরপাল্লার দারুণ এক শট নিয়েছিলেন ফেদেরিকো চিয়েসা। কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়ে তা ঠেকিয়ে দেন স্পেন গোলরক্ষক। ১৫ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় স্পেন। মার্কোস আলনসোর ক্রস সুবিধাজনক স্থানে পেয়েছিলেন পাবলো সারাবিয়া, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।
মিনিট দুই পরই প্রথম গোল পায় স্পেন। মিকেল ওইয়ারসাবালের বাড়ানো বল দারুণ দক্ষতায় ধরে জাল খুঁজে নেন ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড ফেরান তরেস। ১৯ মিনিটে আরেকটা গোল পেতে যাচ্ছিল স্পেন। আলনসোর শট ইতালিয়ান গোলরক্ষক ঠিক মতো আটকাতে পারেননি। বল লাগে পোস্টে। কোনোমতে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান বোনুচ্চি।
৩৪ মিনিটে পোস্ট হতাশ করে ইতালিকে। ফেদেরিকো বের্নারদোস্কির শট স্পেন গোলরক্ষক ঠিকমতো ঠেকাতে না পারলে পোস্টে লাগে বল। তবে জালে জড়ায়নি। পরের মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি লরেন্সো ইনসিনিয়ে। ৪২ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বোনুচ্চি।
এই ধাক্কার পরপরই আরও এক গোল খেয়ে বসে ইতালি। প্রধমার্ধের যোগ করা সময়ে ওইয়ারসাবালের চমৎকার ক্রসে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে গোল আদায় করে নেন তরেস। দশ জনের ইতালির বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে অনেকবার গোলের কাছাকাছি গিয়েছে স্পেন। ৬৩ মিনিটে ইয়েরেমি পিনোর দারুণ ক্রসে মাথা ছোয়াতে পারেননি ওইয়ারসাবাল। ৭৮ মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ আলনসো।
৮২ মিনিটে দারুণ এক প্রতি আক্রমণে ব্যবধান কমায় ইতালি। স্পেনের কর্নার থেকে বল পেয়ে চিয়েসা, সিমোনায় বল দ্রুত যায় স্পেনের ডি-বক্সে। বাকি কাজটা সারেন রেঞ্জো পেলিগ্রিনি। এই গোলের পর ইতালি যেন উজ্জিবিত হয়ে উঠে! তবে গোল আদায় করতে পারেননি সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে স্পেন।