৬ মাসের সুরক্ষা বলয়ে ভারতীয় ক্রিকেটাররা ক্লান্ত— বলছেন বুমরাহ
১ নভেম্বর ২০২১ ১৩:৩১
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুতেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে বিধ্বস্ত ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হেরে শঙ্কা জেগেছে সুপার টুয়েলভ থেকেই বিদায় নেওয়ার। দলের এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সে সমর্থক কিংবা ক্রিকেট বিশ্লেষকদের সঙ্গে অবাক খোদ ভারতীয় ক্রিকেটাররাও। তবে দলের এমন পারফরম্যান্সের জন্য ক্রিকেটারদের ৬ মাসের সুরক্ষা বলয়ে থেকে ক্লান্ত হওয়াকেই দুষছেন ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ।
গত জুন মাসের শুরুতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিল বিরাট কোহলির ভারতীয় দল। এরপর ইংলিশদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজও খেলেছে তারা। যদিও শেষ টেস্ট না করেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএল খেলতে চলে আসে ভারতের ক্রিকেটাররা। আর সেই জুন থেকে সুরক্ষা বলয়ে থাকা শুরু এখন চলছে নভেম্বর মাস। অর্থাৎ প্রায় ৬ মাস ধরেই এই বলয়ে আবদ্ধ ভারতীয় ক্রিকেটাররা।
পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ স্বীকার করলেন টানা জৈব সুরক্ষা বলয়ের ধকলে মানসিক অবসাদ হানা দিচ্ছে তাদের। অধিনায়ক কোহলি তো বলেই বসেছেন, মাঠে প্রবেশের পর থেকে আমরা যথেষ্ট আগ্রাসী ছিলাম না। মাঠে যে ভারতের ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষায় দুর্বলতার ছাপ স্পষ্ট সেটা খালি চোখেও ধরা পড়েছে সমর্থকদের কাছে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে এসে স্বীকার করলেন করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এমন টানা সুরক্ষা বলয়ের ভেতর থেকে খেলার ক্লান্তিতে কাহিল তারা।
বুমরাহ বলেন, ‘অবশ্যই (বলয়ের ক্লান্তি)। মাঝে মাঝে আপনার বিরতি দরকার। মাঝে মাঝে আপনি আপনার পরিবারকে মিস করবেন। আপনি এভাবে ছয় মাস ধরে আছেন। কাজেই অবচেতনে এটা কাজ করতে পারে (ক্লান্তি)। কিন্তু যখন আপনি মাঠে তখন এসব ভাবার সময় নেই। আপনি অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না, সূচি কি হবে বা কোন টুর্নামেন্ট কখন হবে। কাজেই পরিবার থেকে দূরে লম্বা সময় বলয়ের মধ্যে থাকা খেলোয়াড়দের মনে প্রভাব ফেলতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু তারা (কর্তৃপক্ষ) আমাদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু বুঝতে হবে এটা একটা কঠিন সময়। একটা মহামারী চলছে। তাই আমরা মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু কখনও কখনও সুরক্ষা বলয়ের ক্লান্তি, মানসিক অবসাদ হানা দেয়। কারণ আপনি বারবার একই কাজ করছেন।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের এখনো বাকি তিন ম্যাচ। কিন্তু এরমধ্যেই সেমিফাইনাল যেন দূরের স্বপ্ন। বাকি তিন ম্যাচ ভারতকে শুধু জিতলেই হবে না, জিততে হবে বড় ব্যবধানে। এবং কামনা করতে হবে আফগানিস্তানের কাছে নিউজিল্যান্ডের হার।
ভারতের আয়োজনে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপের সবকটি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে দেশের জনপ্রিয় স্যাটেলাইট চ্যানেল জিটিভি। এছাড়াও বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম র্যাবিটহোলের ওয়েবসাইটে দেখা যাবে বিশ্বকাপের খেলা। অনলাইনে র্যাবিটহোলে খেলা দেখতে ব্রাউজ করুন— https://www.rabbitholebd.com
সারাবাংলা/এসএস