ম্যাচের শেষ দিকে এমন হতেই পারে: মাহমুদউল্লাহ
২০ নভেম্বর ২০২১ ০০:০৫
পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে জিততে জিততে হারল বাংলাদেশ। শেষ তিন ওভারে ৩২ রান লাগত পাকিস্তানের। সেই সময় অপরাজিত ছিলেন সদ্য ক্রিজে আসা শাদাব খান ও মোহাম্মদ নাওয়াজ, যাদের একজনও স্বীকৃত ব্যাটার না। কিন্তু সেখান থেকে ৪ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান। শেষ দিকে বাংলাদেশি বোলারদের এলোপাতাড়ি বোলিংয়ের কারণেই কঠিন সমীকরণ সহজে মিলিয়ে ম্যাচ জিততে পেরেছে পাকিস্তান। এদিকে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্রাহ বললেন, শেষ দিকে এমনটা হতেই পারে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর অনেকটাই বদলে গেছে বাংলাদেশ দল। মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, সৌম্য সরকারদের ছেঁটে ফেলে তরুণ সাইফ হাসান, ইয়াছির আলী রাব্বি, শহিদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম বিপ্লবদের দলে ডাকা হয়েছে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেছিলেন, আগামী বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এটা বাংলাদেশের ‘নতুন পথচলা’। কিন্তু নতুন পথচলায় বাংলাদেশকে দেখা গেল পুরনো রূপেই!
বিশ্বকাপ বা তার আগে শুরুর দিকের ব্যাটিং এবং শেষের বোলিং বারবার ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে। ‘নতুন’ বাংলাদেশও এই দুই জায়গায় ব্যর্থ। ১৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বসা বাংলাদেশ চতুর্থ উইকেট হারায় ৪০ রানে। তবুও একটা সময় জয়ের ভালো সম্ভবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই শেষ দিকের বোলিং আবারও ডোবাল বাংলাদেশকে।
১৮তম ওভারে শাদাব খান ও মোহাম্মদ নাওয়াজের বিপক্ষে ১৫ রান খরচ করেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১৯তম ওভারে শরিফুলও খরচ করেন ১৫ রান। ম্যাচটা সেখানেই শেষ হয়ে যায়। ইনিংসের শেষ ওভারে তরুণ লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলামকে বোলিংয়ে এনে হারের আগে বিতর্কই কেবল বাড়িয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক বলছিলেন, আজ সব বোলারই ভালো বোলিং করেছেন এবং টি-টোয়েন্টিতে শেষ দিকে একটা দুটি ওভারে বেশি রান হতেই পারে। মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘সব বোলারই ভালো বোলিং করেছে। উইকেট নিয়েছে, ভালো বোলিং করেছে। শেষের দিকে এমনটা হতেই পারে। যেমন একটা দুটা ওভারে একটু বেশি রান হয়। ওদের ব্যাটাররা ওই সময়ে কয়েকটা ভালো শটও খেলেছে।’
আগের ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১২৭ রানে। মাহমুদউল্লাহ মনে করছেন আর কিছু রান স্কোরবোর্ডে জমা করতে পারলে গল্পটা অন্য রকমও হতে পারত।
তিনি বলেন, ‘১৪০ রান করতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু ১২৭ রান নিয়েও মনে হয়েছিল শুরুতে উইকেট পেলে চেষ্টা করা যাবে। বোলাররা সেটা করেছে, তাসকিন, মোস্তাফিজ ও মেহেদী উইকেট পেয়েছে। আমরা জয়ের খুব কাছে চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওদের শেষ দুই ব্যাটসম্যানকে কৃতিত্ব দিতে হবে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটা মাঠে গড়াবে ২০ নভেম্বর। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ ২২ নভেম্বর। দুপুর ২টা থেকে সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।