তুষার ইমরান বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক দুর্ভাগ্যের নাম। ঘরোয়া ক্রিকেটে মৌসুমের পর মৌসুম রানের বন্যা বইয়ে দিয়েও তুষারের জাতীয় দলে পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়ার বহু আক্ষেপের গল্প আছে। সেসব আক্ষেপ নিয়েই ব্যাট-প্যাড তুলে রাখছেন তুষার। আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) পর অবসরে যাবেন সব ধরনের ক্রিকেট থেকে। আজ মাঠে গড়িয়েছে জাতীয় লিগের শেষ ম্যাচ। অর্থাৎ তুষারের ক্রিকেটীয় অধ্যায় এখন অতীত।
পুরো ক্যারিয়ারর মতো শেষ বেলায়ও আক্ষেপ সঙ্গী হলো তুষারের। মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারলেন না। ইনজুরির কারণে আজ মাঠে নামতে পারেননি ৩৮ বছর বয়সী ক্রিকেটার। বেঞ্চ থেকেই ক্রিকেটীয় অধ্যায় শেষ হলো তার।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ের প্রায় সব রেকর্ডই তুষার ইমরানের দখলে। আজ মাঠে নামতে পারলে আরও একটা মাইলফলক পূর্ণ করার সুযোগ পেতেন। আর মাত্র ২৮ রান হলেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১২ হাজার রান হতো তার। যেখানে বাংলােশের ঘরোয়া ক্রিকেটে ১০ হাজার রানও নেই অন্য কারও। প্রথম শ্রেণিতে ৩২টি সেঞ্চুরি করে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিকও তুষার। শেষ পর্যন্ত গত ২১ বছরে ১৮২টি ম্যাচ খেলে ৪২.৭৫ গড়ে ১১ হাজার ৯৭২ রানে থামলেন তুষার।
২০০২ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে ৫টি টেস্ট ও ৪১টি ওয়ানডে খেলেছেন। তবে ব্যাট হাতে ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটিয়েছেন ২০১৫ সালের পর। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে ১ হাজার ২০০ এর বেশি রানের রেকর্ড গড়েছিলেন। ২০১৮, ২০১৯ সালেও ছিলেন ফর্মের তুঙ্গে। ২০১৯ সালে রেকর্ড ১ হাজার ৫০০ এর অধিক রান করেন তুষার। তবু জাতীয় দল থেকে আরেকবার ডাক পাননি তুষার।
২০০২ সাল থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ৫ টেস্ট খেলে রান করেছেন মাত্র ৮৯টি, সর্বোচ্চ স্কোর ২৮। ৪১ ওয়ানডে খেলে দুই হাফ সেঞ্চুরিতে করেছিলেন ৫৭৪ রান, সর্বোচ্চ ৬৫।