Sunday 27 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

টেস্ট থেকে অবসরে মাহমুদুল্লাহ

স্পোর্টস ডেস্ক
২৪ নভেম্বর ২০২১ ২০:৩২ | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২১ ২০:৩৫
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গেল জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টেস্টটি খেলেছিলেন। ওই সময়ই জানিয়ে দিয়েছিলেন, সাদা পোশাকের ক্রিকেটে আর নয়। এবারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে, টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

গত জুলাইয়ে ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্টটিই হয়ে থাকল তার শেষ টেস্ট। শেষ টেস্টে অপরাজিত ১৫০ রানের ইনিংস আর ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও স্মরণীয়ই হয়ে থাকবে। কাকতালীয়ভাবে তার ক্যারিয়ারের অভিষেক ও শেষ টেস্ট— দু’টিতেই বিজয়ী দলের নাম বাংলাদেশ।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) বিসিবি থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। টেস্ট থেকে বিদায় নিলেও মাহমুদুল্লাহ বর্তমান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টি-টোয়েন্টি সংস্করণের অধিনায়ক। ওয়ানডে টিমেও এখনো রয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বিসিবি’র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টেস্টে ১২ বছরের ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন মাহমুদুল্লাহ। ৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার গত জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাবে ক্যারিয়ারের ৫০তম ও শেষ টেস্টটি খেলেছিলেন। ওই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাহমুদুল্লাহ দেড়শ রানে অপরাজিত ছিলেন। ২২০ রানে জয়ের ওই ম্যাচে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচও হয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ। জাতীয় দলের হয়ে ৬টি টেস্টে নেতৃত্বও দিয়েছেন।

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ

অবসরের ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে মাহমুদুল্লাহ বলেন, দীর্ঘ দিন একটি ফরম্যাটের অংশ হয়ে থাকার পর সেটিকে বিদায় জানানো সহজ নয়। আমি সবসময় ভালো করার চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয়, এখনই টেস্ট ক্যারিয়ারকে বিদায় বলার উপযুক্ত সময়।

তিনি বলেন, টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে আসার সময় সমর্থন দেওয়ার জন্য আমি বিবিসি প্রেসিডেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। দলের খেলোয়াড়সহ সাপোর্ট স্টাফ যারা ছিলেন, তাদেরও ধন্যবাদ জানাই। তারা সবসময় আমাকে উৎসাহ জুগিয়েছেন, আমার সক্ষমতায় আস্থা রেখেছেন। বাংরাদেশের হয়ে টেস্ট খেলাটা নিঃসন্দেহে একটি গর্বের বিষয়। এই স্মৃতি আমি আজীবন মনে রাখব।

টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচকে এখনই বিদায় বলছেন না মাহমুদুল্লাহ। তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের ক্রিকেটে তিনি এখনো তার সামর্থ্য অনুযায়ী দেশের জন্য সর্বোচ্চটুকু করার চেষ্টা করবেন।

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক মাহমুদউল্লাহর। কিংসটাউনের সেই টেস্টে দুই ইনিংসেই ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারেননি তিনি। তবে বল হাতে প্রথম ইনিংসে ৫৯ রানে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ছিলেন আরও উজ্জ্বল— ৫১ রানে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। টান টান উত্তেজনার সেই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৬৯ রানে পিছিয়ে থেকেও ৯৫ রানে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।

আগেই বলা হয়েছে, টেস্ট ক্যারিয়ারে মাহমুদুল্লাহ খেলেছেন ৫০টি টেস্ট। তাতে ৯৪ ইনিংসে ৩৩.৪৯ গড়ে রান করেছেন ২ হাজার ৯১৪। পাঁচটি সেঞ্চুরির সঙ্গে রয়েছে তার ১৬টি হাফ সেঞ্চুরি। স্ট্রাইক রেট ৫৩.৪০। পার্টটাইম বোলার হিসেবে ৬৬ ইনিংসে ৪৫.৫৩ গড়ে নিয়েছেন ৬৪ উইকেট। ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছেন ওই একবারই— অভিষেক টেস্টে।

দেশের ক্রিকেটে এক নির্ভরযোগ্য নাম হয়ে উঠেছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিন ফরম্যাটেই তিনি খেলেছেন। তবে তার ব্যাটিং পজিশন নিয়ে কোনো সময়ই স্থির কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি দল। কখনো টপ-মিডল অর্ডার, কখনো লোয়ার অর্ডারে তিনি ব্যাট করেছেন কমবেশি সব ফরম্যাটেই। কখনো তাকে ভাবা হয়েছে ফিনিশার, কখনো টপ-মিডল অর্ডারের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে তার কাঁধে। সবশেষ টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয় তার হাতে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাহমুদুল্লাহ’র নেওয়া কিছু মাঠের সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে।

ফাইল ছবি

সারাবাংলা/টিআর

টেস্ট থেকে অবসর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর