চাকরি ছাড়লেন করোনার কড়াকড়িতে হাঁপিয়ে উঠা বাংলাদেশের ফিজিও
২৬ নভেম্বর ২০২১ ১৯:০৯
করোনাভাইরাসের প্রকোপ কাটিয়ে স্বাভাবিকতায় ফিরছে বিশ্ব। প্রায় সব পেশার মানুষই কাজে ফিরেছে। তবে এসবের মধ্যে বড় বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে খেলোয়াড় এবং খেলাধুলা সংক্রান্ত সাপোর্টিং স্টাফদের। দীর্ঘদিন জৈব-সুরক্ষা বলয়ে বন্দি থাকতে হচ্ছে, মানতে হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধির কড়া নিয়ম। এসবে অতিষ্ঠ হয়ে খেলাধুলার বাইরে চলে যাওয়ার উদাহরণ অনেক। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ফিজিও’র দায়িত্ব পালন করতে থাকা জুলিয়ান ক্যালেফাতোর নামও যুক্ত হলো এই তালিকায়। চাকরি ছেড়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) ইনস্টাগ্রামে এক পোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চাকরি ছাড়ার ঘোষণা দেন ক্যালেফাতো। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান আকরাম খানও পরে জানালেন, ঘটনা সত্য।
আকরাম বলেন, ‘ক্যালেফাতো আমাদের পারিবারিক অসুবিধার কথা জানিয়েছে। ফলে আমরাও আর দ্বিমত করিনি। শিগগিরই তার বিকল্প খোঁজা হবে।’
করোনাকালীন ক্রিকেটে ক্রিকেটার এবং সাপোর্টিং স্টাফদের জৈব-সুরক্ষা বলয় বাধ্যতামূলক। এদিকে, করোনাকে পাস কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরে একটার পর একটা সিরিজ খেলে চলেছে বাংলাদেশ। যাতে স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘদিন যাবত জৈব-সুরক্ষা বলয়ে বন্দি থাকতে হয়েছে। এসবে রীতিমতো অতিষ্ঠ ক্যালেফাতো।
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে উল্লেখ করেছেন সেটি, ‘আমার ইনিংসটি শেষ হলো। বিসিবির সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমি সেটি আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অতিমারির এই সময় আন্তর্জাতিক ভ্রমণে আমাদের সঙ্গী জৈব সুরক্ষাবলয়ের জীবন। কোয়ারেন্টিনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়াটা ছিল সব সময়ই কঠিন। এটি একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। গত ১৮ মাসে ১০০’র বেশিবার আমি করোনা পরীক্ষা করিয়েছি। এটা করতে আমার নাকে এখনো ব্যথা।’
বিদায়বেলায় বিসিবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিজের অর্জনের কথাও উল্লেখ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ফিজিও। তিনি লিখেন, ‘আমি বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এমন একটা সুযোগ আমাকে দেওয়ার জন্য। বাংলাদেশ দলে আমার সঙ্গীদের সঙ্গেও তৈরি হয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আমি বাংলাদেশ দলের ফিজিও থাকাকালীন কিছু অর্জন আছে আমার। ভারতে দিনরাতের টেস্টে গ্যালারিভর্তি দর্শকের সামনে দলের খেলার কথাটা মনে পড়ছে। সে খেলায় গ্যালারির দর্শকের চিৎকার এখনো আমার মাথায় ঘোরে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়—এটাও ভীষণ গর্বের।’