পূর্বনির্ধারিত সময়েই বিপিএল
২২ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:২৪
নিউজিল্যান্ড সফররত বাংলাদেশ দলে করোনাভাইরাসের হানায় এবারের বিপিএল ঠিক সময়ে শুরু হবে কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল শঙ্কা। শঙ্কা আপাতত কেটে গেছে। বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানালেন, বিপিএল পরিকল্পনা আগের মতোই আছে। ২০ জানুয়ারী থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ২০ ফেব্রুয়ারি।
নিউজিল্যান্ড সফররত বাংলাদেশ দলে করোনাভাইরাসের হানায় এবারের বিপিএল পূর্ব পরিকল্পনা সময়ে শুরু হবে কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বড় শঙ্কা। শঙ্কা আপাতত কেটে গেছে। বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানালেন, বিপিএল পরিকল্পনা আগের মতোই আছে। ২০ জানুয়ারী থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ২০ ফেব্রুয়ারি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে আগেই ২০ জানুয়ারী থেকে এবারের বিপিএল শুরুর কথা জানানো হয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষ হবে ১৪ তারিখ, তার পরপরই বিপিএল। কিন্তু বাংলাদেশ দল যে ফ্লাইটে নিউজিল্যান্ডে যায় সেটিতে ছিলেন করোনার নতুন সংক্রমন ওমিক্রন আক্রান্ত এক যাত্রী। নিউজিল্যান্ডে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাত। তাতে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের কোয়ারেন্টাইন সময় বাড়ে। সিরিজ পেছানো এবং স্থগিতের শঙ্কাও তৈরি হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই শঙ্কা সত্যি হয়নি। যাতে নির্ধারত সময়ে বিপিএল শুরু করতে আর কোনো বাঁধা নেই। ইসমাইল হায়দার মল্লিক সেটিই বললেন।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইসমাইল হায়দার। তিনি বলেন, ‘দেখেন কোভিড পরিস্থিতির কারণে নিউজিল্যান্ড সিরিজ ঠিক সময়ে হবে কিনা, জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ঠিক সময়ে খেলতে পারবেন কিনা সে জন্য বিপিএলের সিদ্ধান্তগুলো নিতে দেরি হচ্ছিল। তবে আমাদের প্রস্তুতি ছিলই। এখন পর্যন্ত আমাদের ছয়টি দল ঠিক আছে। তাদেরকে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে অংশগ্রহনের টাকা জমা দিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আজকের মধ্যে দিয়ে দেওয়ার কথা। আমরা আশা করছি তারা দিয়ে দিবে। তখন আমরা তাদের ফাইনালি চূড়ান্ত করব। বিকল্প হিসেবে আমরা কয়েকটি আগ্রহী দলের সঙ্গেও কথা বলে রেখেছি।’
আগ্রহের ভিত্তিতে বিভিন্ন বিষয় যাচাই বাছাইয়ের পর এখন পর্যন্ত ছয়টি দলকে প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছে বলেছেন তিনি, ‘এই ছয়টার মধ্যে যেমন ঢাকা, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা। এখন পর্যন্ত এই ছয়টা ঠিক করা আছে। দল ফাইনাল হয়ে যাওয়ার পর আমরা প্লেয়ার ড্রাফট করব। ড্রাফটের জন্য আমরা দুইটা চিন্তা করে রেখেছি। একটা হলো ২৭ ডিসেম্বর। তা না হলে জানুয়ারীর ১ তারিখ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে।’
টুর্নামেন্ট শুরুর প্ল্যান আগের মতোই আছে জানিয়ে ইসমাইল হায়দার বলেন, এবার চ্যাম্পিয়ন দলকে ১ কোটি টাকা প্রাইজমানি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, ‘শুরুর প্ল্যানটা আগের মতোই আছে। আমরা জানুয়ারীর ২০ তারিখ থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখে শেষ করব। আর প্রাইজমানির বিষয়টি হলো আমরা চিন্তা করেছি চ্যাম্পিয়ন দলকে এক কোটি টাকা এবং রানার্সআপ দলকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিব।’