Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনার ঊর্ধ্বগতিতে জৌলুস হারাচ্ছে বিপিএল

শামিম হোসেন শিশির, নিউজরুম এডিটর
১৫ জানুয়ারি ২০২২ ১৮:১৯

ঢাকা: দরজায় কড়া নাড়ছে অষ্টম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। সবকিছু ঠিক থাকলে ২১ জানুয়ারি মাঠে গড়ানোর কথা বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনটি। কিন্তু শুরুর আগেই বিপিএল জৌলুস হারিয়েছে অনেকটা।  করোনাভাইরাসের নতুন সংক্রমণ ওমিক্রনের প্রভাব দিনকে দিন বাড়ছে। তার বড় ধাক্কাটা লেগেছে শুরুর অপেক্ষায় থাকা বিপিএলের গায়েও।

প্রায় একই সময়ে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) শুরু হচ্ছে বলে বিপিএলের জৌলুস কমার শঙ্কা আগে থেকেই ছিল। সেই শঙ্কার কিছু বাস্তবরূপ দেখাও গেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বড় তারকাদের অনেকেই বিপিএলের বদলে পিএসএলকে বেছে নিয়েছেন। তারপর টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বড় ধাক্কা হয়ে এলো করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব।

করোনা নতুন ভ্যারিয়েন্টটি ইতিমধ্যে ইউরোপ ছেয়ে গেছে। বাংলাদেশেও দিনকে দিন হু হু করে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। যার প্রেক্ষিতে মাঠে দর্শক প্রবেশের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিপিএলের গভর্নিং কমিটি।

দীর্ঘদিন  বন্ধ থাকার পর গত পাকিস্তান সিরিজে দেশের স্টেডিয়ামগুলোতে দর্শক ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার শর্তে ধারণক্ষমতার পঞ্চাশ শতাংশ দর্শকদের মাঠে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। বিপিএলেও মাঠে পঞ্চাশ শতাংশ দর্শক থাকবে এমন ঘোষণা এসেছিল। ওমিক্রনের প্রভাবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা ইতোমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অর্থাৎ দর্শকহীন মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এবারের বিপিএল। অবশ্য বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানিয়ে রেখেছেন, শিগগিরই দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গ্যালারিতে দর্শকদের ফেরানোর কথা পুনর্বিবেচনা করা হবে।

ওমিক্রন বাধায় ডিআরএস সুবিধা নিশ্চিত করতে পারছেন না বিপিএল কর্তৃপক্ষ। আসছেন না প্রত্যাশিত বিদেশি আম্পায়ার, ধারাভাষ্যকাররাও। সারাবিশ্বেই ডিআরএস সুবিধা দিয়ে থাকেন হক-আই কোম্পানি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে আসছেন না তাদের টেকনিশিয়ানরা। এই মুহূর্তে দুটি দেশে কাজ করছে হক-আই কোম্পানির টিম। করোনা পরিস্থিতিতে সেখান থেকে বাংলাদেশে না আসতে পারার বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছে কোম্পানিটি।

আম্পায়ারিংয়ের জন্য ইংলিশ আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলে রেখেছিল বিপিএল গভর্নিং কমিটি। করোনার জন্য বিপিএলেকে ‘না’ বলে দিয়েছেন তিনিও। উপায়ন্তর না পেয়ে আম্পায়ার খুঁজতে ভারত ও শ্রীলংকার দিকে তাকিয়ে আছে বিপিএলের আয়োজক কমিটি।

একই সমস্যা দেখা দিয়েছে ধারাভাষ্যকার নিয়েও। বিদেশি তারকা ধারাভাষ্যকাররা আসতে চান না বাংলাদেশে। ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে বিদেশি ধারাভাষ্যকারও পাওয়া যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে দেশি ধারাভাষ্যকারদের ওপরই ভরসা করতে হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের কারণে গতবার বিপিএল অনুষ্ঠিত হয়নি। ভাইরাসটির প্রকোপ কমে গেলে এবার বিপিএল আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাছাড়া বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে সেই ২০২১ সালের জানুয়ারিতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে। তারপর দেশের মাঠে শ্রীলংকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। তার ধারাবাহিকতাতেই এবারের বিপিএল আয়োজনের ভাবনা। কিন্তু বিপিএল শুরুর আগে আবারও সেই করোনা বিড়ম্বনা।

সারাবাংলা/এসএইচএস/আইই

ইসমাইল হায়দার মল্লিক টপ নিউজ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএল বিপিএল ২০২২ বিসিবি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর